আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ‘পুলিশকে স্বেচ্ছাসেবক’ হিসাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলের কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।
দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার দুটি উপ-কমিটির যৌথ বৈঠকে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি এ আহ্বান জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলটির সম্মেলন হবে। সেখানে কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের সহায়তার জন্য ‘পুলিশ ও গোয়েন্দাবাহিনীকে’ স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ জানান আবুল হাসনাত।
ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক’ এবং ‘মঞ্চ ও সাজসজ্জা’ উপ-কমিটির ওই বৈঠকে তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব তার পুলিশবাহিনী, গোয়েন্দাবাহিনী যারাই আছে, তারা অন্তত এই সময়টাতে একটু স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করুক। এটাই আমার বিশেষভাবে অনুরোধ।
“দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ (প্রতিনিধি) লঞ্চে আসবেন। উত্তরবঙ্গ থেকে বাসে আসবেন। তাই বাস-স্টেশনগুলোতে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য ব্যবস্থা আপনি করবেন। কারণ আমাদের বিরোধীদল চাচ্ছে এখানে একটা অঘটন ঘটুক। এটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।”
নিজের উপ-কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে আবুল হাসনাত বলেন, “আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ে অনেক বয়স্ক লোক আছে, কেন্দ্রীয় পর্যায়েও আছে। তাদেরকে সসম্মানে আসনে বসানোর দায়িত্ব শৃঙ্খলা কমিটির।”
তাদের পানি ও খাদ্যের ব্যবস্থা সঠিকভাবে করার জন্যও অনুরোধ জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি বলেন, “আমাদের দলের ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নির্ভর করবে সুশৃঙ্খল সম্মেলনের মাধ্যমে… যদি সমাপ্ত করতে পারি তাহলে জনগণের কাছে ভালো গ্রহণযোগ্যতা হবে। তাই যার যেখানে অবস্থান থাকবে, তিনি সেখানেই ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করবেন। অন্য জায়গায় যাবেন না।”
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।