ভারসাম্যপূর্ণ নগরায়নে আগামী ৫০ বছরের বসতি পরিকল্পনা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকায় ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, এরপরও আবাসন ব্যবসায়ীরা যৌক্তিক কোনো সংস্কার প্রস্তাব আনলে সরকার সেটাও বিবেচনা করবে।
নতুন ড্যাপে (ডিটেইলড এরিয়া প্লান) ভবন নির্মাণে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার হার আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়া এবং ভবনের উচ্চতা কমিয়ে আনা হয়েছে বলে আবাসন ব্যবসায়ীদের অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বুধবার ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের ‘রিহ্যাব ফেয়ারের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ড্যাপ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এবারের মেলায় নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ১৮০টি স্টল থাকছে। রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ১৬টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১৩ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা নিয়ে অংশ নিচ্ছে মেলায়।
তাজুল ইসলাম বলেন, “ঢাকাকে সুন্দরভাবে বসবাসযোগ্য করার জন্য ইতোমধ্যে ড্যাপের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ড্যাপ এ ‘ফার’ হ্রাসের বিষয়ে অনেকের মধ্য থেকে উদ্বেগ প্রত্যক্ষ করেছি। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। কেউ যৌক্তিক কোনো প্রস্তাব নিয়ে আসলে সেটাও বিবেচনায় নেওয়া হবে।”
ক্রমবর্ধমান এ শহরে মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের পাশাপাশি গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তা, পার্ক বা বিনোদনকেন্দ্র, স্কুল, হাসপাতালসহ প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো বিবেচনায় নিতে গিয়ে ভবনের উচ্চতা ও পাশে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল বলে জানান তিনি।
পরিকল্পিত ঢাকা গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ড্যাবের সভাপতি হিসেবে কোনো পার্সিয়ালিটি করিনি। আমি কারও পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছি না। দেশের কল্যাণে কোথাও কোনো কিছু করা হলে আমি সেটা অবশ্যই করব।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) সাম্প্রতিক সময়ে নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন ড্যাপে ‘ফার’ কমে যাওয়ার কারণে আবাসন খাত সংকটে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তাংশ অবদান রাখা আবাসন শিল্প হুমকির মুখে বলে দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি (ফিন্যান্স) ও ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা। রিহ্যাবের পরিচালক এবং অন্যান্য নেতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় প্রবেশ
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। সিঙ্গেল ও মাল্টিপল এন্ট্রি টিকেট দিয়ে মেলায় ঢোকা যাবে। সিঙ্গেল টিকেটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা এবং মাল্টিপলের ১০০ টাকা। মাল্টিপল টিকেট দিয়ে একজন পাঁচবার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকেটের প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দুঃস্থদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। এবছর প্রতিদিন র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।