কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে অপহৃত আরেক কৃষক মুক্তিপণ দিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে অপহৃত চার কৃষকই ফিরলেন।
‘মুক্তিপণ দিয়ে’ তিন কৃষক ফিরে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার লেচুয়াপ্রাং সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা দিয়ে কৃষক আব্দুস সালাম (৪৮) ফিরে আসেন বলে জানান হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
আব্দুস সালাম (৪৮) হ্নীলা ইউনিয়নের বড় লেচুয়াপ্রাং এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
তবে মুক্তিপণের টাকা কোথায়, কীভাবে অপহরণকারী চক্রকে দেওয়া হয়েছে- সে বিষয়ে স্বজনরা বিস্তারিত তথ্য দেননি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত এসেছিল একই এলাকার আরও তিন কৃষক। তারা হলেন- ছৈয়দ হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান (৩২), রাজা মিয়ার ছেলে মুহিব ঊল্লাহ (১৫) এবং ফজলুল করিমের ছেলে আব্দুল হাকিম (৪০)।
শনিবার রাত ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকার ক্ষেত থেকে এই চার কৃষককে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের।
এরপর সোমবার চারজনকে ছেড়ে দিতে পরিবারের কাছে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ।
তিনি আরও বলেছিলেন, মুক্তিপণের জন্য অপহৃত কৃষকদের উপর শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়। নির্যাতন চালানোর সময় তাদের আর্তনাদ মোবাইল ফোনে স্বজনদের শোনানোও হয়েছিল।
ফেরত আসা কৃষকের স্বজনের বরাতে রাশেদ বলেন, “ফেরত আসা কৃষক আব্দুস সালামকে মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়েছে। তবে কত টাকা মুক্তিপণ দিয়েছে এবং ওই টাকা কোথায়, কিভাবে; কাদের দিয়েছে এ ব্যাপারে স্বজনরা কোনো তথ্য দেয়নি।”
টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম বলেন, সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিম্মি থাকা কৃষক আব্দুস সালাম ফেরত আসার খবরটি পুলিশকে জানান। এর আগের দিন ফিরে এসেছিল আরও তিনজন।
তবে অপহৃতদের উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে তাদের স্বজনদের কাছে কোনো ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেন ওসি।
আব্দুল হালিম জানান, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।