‘বার্তা’ দিতে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপি


FE Team | Published: February 11, 2023 20:20:57 | Updated: February 12, 2023 21:06:21


ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতারা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশ নিল বিএনপি। পুলিশ নেতা-কর্মীদের মামলা-গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগের মধ্যে বিএনপির প্রতিনিধিদের এই অংশগ্রহণ দেখা গেল।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, তারা একটি ‘বার্তা’ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন। তা হলো, “পুলিশ জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, জনগণও পুলিশের প্রতিপক্ষ নয়।”

শনিবার বিকালে রাজারবাগে পুলিশ লাইন্সের মাঠে ডিএমপির ৪৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস (রেইজিং ডে) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।

অনুষ্ঠানে একই টেবিলে বুলুর সঙ্গে বসেন ঢাকা-১৬ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহ, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব রহমান, রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক জিয়া রহমান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অনুষ্ঠানস্থলে এসে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে হাস্যমুখে করমর্দন ও কুশল বিনিময় করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এবারই পুলিশের কোনো অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের দেখা গেল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরকতউল্লাহ বুলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, জনগণও পুলিশের প্রতিপক্ষ নয়- এই বার্তাটুকু দেওয়ার জন্যই সেখানে আমাদের যাওয়া।

“আমরা মনে করি, পুলিশ জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবে এবং কোনো পক্ষ অবলম্বন না করে জনগণের নিরাপত্তা বিধানে পাশে থাকবে।”

তিনি বলেন, “ডিএমপি ১৯৭৬ সালে এই দিনে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে পুলিশের আধুনিকায়ন, তাদের নতুন অস্ত্রে সজ্জিতকরণ, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ইউনিট বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে, কারণ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে।”

পুলিশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “সব আন্দোলন ও সংকটে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা ও বীরত্বের সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণেই আজ বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গি উত্থানের কারণে আমরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। হোমগ্রোন (দেশীয়) টেরোরিস্ট এবং আন্তর্জাতিক টেরোরিস্টের যোগসাজশে জঙ্গিবাদ বিস্তারে যখন অপচেষ্টা হয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডিএমপিতে সিটিটিটিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সিটিটিসি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে।”

জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, “ডিএমপি জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের যে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সেখানে স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট ডিএমপি প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপি।”

বিকালে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা রাজারবাগে এসে শেষ হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিকালে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর ডিএমপির সার্বিক কার্যক্রমের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা অংশ নেন। অভিনেতা, অভিনেত্রী, সংগীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পী এবং ডিএমপি শিল্পীগোষ্ঠী অংশ নেন। à¦–বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

Share if you like