ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন বিতরণ সংস্থার প্রায় দুই হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি ক্ষয়ক্ষতির এই চিত্র তুলে ধরে বলেন, রাত থেকেই বিতরণ সংস্থাগুলোর কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“আমাদের চার কোটি ৮০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৮০ লাখ গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছেন। বিকালের মধ্যে এর ৭০ শতাংশ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসবে বলে আশা করছি।”
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পল্লী বিদ্যুতের আট শতাধিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের খুঁটিসহ মোট ১৫০০ ধেকে ২০০০ খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
“এই মুহূর্তে আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে দ্রুত বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনা। হাসপাতালগুলোতে কত দ্রুত বিদ্যুৎ দেওয়া যায় সেদিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”
সোমবার সন্ধ্যার পর ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার ঝেড়ো হাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসার সময় প্রবল বর্ষণের সঙ্গে চলে ঘূর্ণিবায়ুর তাণ্ডব।
বৃষ্টি ঝরিয়ে রাতেই দুর্বল হয়ে যায় এই ঝড়, কিন্তু উপকূলীয় জেলাগুলোতে রেখে যায় ক্ষতচিহ্ন। এর বড় প্রভাব পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়।
দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়ছে। হাসপাতালসহ জরুরি সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারেনট যোগাযোগে বিভ্রাটও কাটেনি।
নসরুল হামিদ জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই লাইন মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কর্মীরা। যত দ্রুত সম্ভব তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে চান।