ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর ৪ চীনা যাত্রীর র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে ফল ‘কোভিড পজিটিভ’ পাওয়া গেছে।
তাদের মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তারা কুনমিং থেকে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, সাধারণত কোনো যাত্রীর মধ্যে কোভিডের উপসর্গ দৃশ্যমান হলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়।
“ওই চার চীনা যাত্রীর মুখমণ্ডল লাল থাকায় তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপরে তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। চারজনই চীন থেকে আরটিপিসিআর যন্ত্রে পরীক্ষা করানো ‘কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট’ নিয়ে যাত্রা করছিলেন। ঢাকায় তাদের আবার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানো হবে।”
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, বেলা সাড়ে ৩টায় চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কুনমিং থেকে ওই চারজন পুরুষ যাত্রী শাহজালালে অবতরণ করেন। ফ্লাইটটিতে মোট ১০৫ জন যাত্রী ছিলেন।
“কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে শাহজালালে গৃহীত পদক্ষেপ ও সচেতনতার কারণে ওই চার যাত্রীকে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। শাহজালালে আগত যাত্রীদের এখন থার্মাল গেট পার হতে হচ্ছে, যার মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা জানা যাচ্ছে। সন্দেহ হলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে।”
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শনিবার দেশের সব বন্দরে সতর্কতা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ বিষয়ক নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের উপধরন দেখা দিয়েছে। ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭ এর কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিবেশী দেশে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের নতুন এ উপধরন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে ‘স্ক্রিনিং’ জোরদার করার নির্দেশ দিয়ে এতে বলা হয়, সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে।