ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৯৬ জন। তাদের নিয়ে এই মাসের ৯ দিনে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল সাড়ে ৭ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবারের বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়ে নভেম্বরের প্রথম নয়দিনে মৃত্যু হল ৪৬ জনের। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত মারা গেলেন ১৮৭ জন, যা দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক।
এইডিস মশাবাহিত এই রোগে এই বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৯৮ জন। এটা দেশে এই রোগের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
২০১৯ সালে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছিল। ২০২১ সালে হাসপাতালে সংখ্যাটি ছিল ২৮ হাজার ৪২৯।
নভেম্বরের প্রথম নয় দিনে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ৭ হাজার ৫৭৪ জন।
গত একদিনে ভর্তি রোগীদের ৪৫৯ জন ঢাকায় এবং ৩৩৭ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ১৪৪ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি হাসপাতালে আছেন ১ হাজার ৯১৫ জন, ঢাকার বাইরে ১ হাজার ২২৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ১২৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে।
এছাড়া ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৫২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪ জন, খুলনা বিভাগে ৫১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩১ জন, বরিশাল বিভাগে ৫৩ জন এবং রংপুর বিভাগে ৪ জন।
সারাদেশে এ পর্যন্ত যে ১৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১১৫ জনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান।
বর্ষাকাল এলেই ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এইডিস মশার উৎপাত বাড়ে। এ সময় এই মশার দংশনে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ে। তবে এ বছর এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে।
এ বছর অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৯৩২ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিল মাসে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন, জুন মাসে ৭৩৭ জন, জুলাই মাসে ১ হাজার ৫৭১ জন, অগাস্ট মাসে ৩ হাজার ৫২১ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৯ হাজার ৯১১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
সর্বাধিক ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে অক্টোবর মাসে। এ ছাড়া জুন মাসে ১ জন, জুলাই মাসে ৯ জন, অগাস্ট মাসে ১১ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এইডিস মশাবাহিত এই রোগে।