মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী, সুপরিচিত একজন লেখক, কিছু ছাত্রনেতা, আন্দোলনকর্মী এবং সাংবাদিকসহ ৭০১২ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে জান্তা সরকার।
বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এমআরটিভি বুধবার এখবর জানিয়েছে।
লেখক এবং সু চির এনএলডি পার্টির কর্মকর্তা হতিন লিন ও মুক্তি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ফোনে বলেন, এখন আমি জেল থেকে বাসায় ফিরেছি। কিন্তু আমি এখনও মুক্ত নই। বাড়িতেও যদি ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় তহলে তো এটি প্রকৃত মুক্তি নয়।”
লেখক হতিন লিন সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তার তিন বছরের জেল হয়েছিল। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বন্দি মুক্তি বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলে জান্তা সরকারের মুখপাত্র কোনও জবাব দেননি। তাছাড়া, সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে সু চি কিংবা সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট থাকারও কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে সুচি’র বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সু চিসহ তার সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরকে আটক করার পর থেকেই মিয়ানমারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত মাসে ৭৪ বছরের মধ্যে প্রথম মিয়ানমার প্রশ্নে প্রস্তাবনা গ্রহণ করে। এতে মিয়ানমারে সহিংসতা অবসান এবং সব রাজবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সামরিক শাসিত মিয়ানমারের আদালত অং সান সু চিকে দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
বর্তমানে সু চিকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর একটি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে অজ্ঞাত একটি স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।