সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কানাডা থেকে মোট ২ লাখ ১০ হাজার টন সার ও সারের কাঁচামাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার, তাতে খরচ পড়ছে আগের চেয়ে কিছুটা কম।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবে ওই সার কেনার অনুমতি দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান।
অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়। তবে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী ছিলেন না। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বৈঠক শেষে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিআইসি। এধরনের কেনাকাটায় আগেরবার প্রতি টনে ৮২০ ডলার খরচ হয়েছে; এবার খরচ হচ্ছে ৬৭৪ ডলার। সব মিলিয়ে এবার ফসফরিক অ্যাসিড কিনতে খরচ হবে ২১৫ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০ টাকা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশনের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনতে বিসিআইসির একটি প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এর আগের লটে প্রতি টনে ৬২৬ দশমিক ৬৭ ডলার খরচ হলেও এবার দাম পড়েছে ৫৯৪ দশমিক ১৭ ডলার।
বিসিআইসির আরেক প্রস্তাবে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রিনিউট্রেন্টের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। তাতে প্রতি টন সারের দাম পড়ছে ৫৯৪ দশমিক ১৭ ডলার, আগের লটে খরচ হয়েছিল ৬২৫ দশমিক ৮৩ ডলার। এই কেনাকাটায় মোট খরচ হচ্ছে ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। এর পরের লটে একই দামে সাবিক এগ্রি থেকে আরও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান বিএডিসি কানাডা থেকে ৫০ হাজার টন এমওপি এবং সৌদি আরক থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল, যা ক্রয় কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, আগের কেনাকাটায় প্রতিটন এমওপি সারের জন্য ৮২১ ডলার খরচ করতে হলেও এবার লাগবে ৭৮৮ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় খরচ হচ্ছে ৪১৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কিনতে এবার খরচ হচ্ছে ৩০৮ কোটি ৭৮ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ টাকা। আগের কেনাকাটায় প্রতিটন ডিএপি সার ৮২৬ দশমিক ৫০ ডলারে কেনা হয়েছিল, এবার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৭২৫ দশমিক ২৫ ডলার।
অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিতরণ লাইন উন্নয়নের অংশ হিসাবে সেখানে ৭টি নতুন ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, তিনটি উপকেন্দ্র সংস্কার এবং দুটি উপকেন্দ্র ৩৩ কেভিতে সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন, ময়মনসিংহ জোন’ প্রকল্পের জিডি-১ প্যাকেজের পঞ্চম লটের আওতায় বাংলাদেশের আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজকে মোট ১০২ কোটি ৬১ লাখ৮৬ হাজার ৩৫৯ টাকায় কাজটি দেওয়া হয়েছে।