১৭তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) শুরু হওয়া দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের সর্ববৃহৎ এই আয়োজন চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮২টি স্টল রয়েছে। ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার’র (ডিটিসি) ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি এ মেলার আয়োজনে করছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির গুলনকশা হলে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ জসিম উদ্দীন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক জনাব কে. এম আকতারুজ্জামান। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এ করিম মজুমদার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান জনাব সেলিম এইচ রহমান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই মেলার মাধ্যমে ফার্নিচার কোম্পানির মালিকদের বলবো- ফার্নিচার রপ্তানি বাণিজ্যর দিকে ফোকাস করতে। এর মাধ্যেমে ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি এবং দেশ দুটোই উপকৃত হবে। আপনারা নিজেরা বসেন নীতিমালা তৈরী করুন। দেখবেন একটি রাস্তা তৈরী হয়ে গেছে।
১৭তম জাতীয় ফার্নিচার মেলায় মূল মেলার পাশাপাশি উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতযোগিতা। প্রতিযোগিতায় সেরা ছবি আঁকার জন্য প্রথম ১০ জনকে দেওয়া হবে আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী পাবে সার্টিফিকেট ও স্কেচ বুক। চিত্রাঙ্কনের বিষয় ছিল, ‘ছবির মত ঘর।
বিগত ১৬ বছর ধরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার মেলার ১৭তম আয়োজন। এই মেলার উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি দেশের বাইরেও রপ্তানি বাড়ানো। এরই মধ্যে বিদেশে ফার্নিচার রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মেলায় হাতিল, আখতার, নাভানা, পারটেক্স, রিগ্যাল, নাদিয়া, ব্রাদার্সের মতো ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮২টি স্টল থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১৯০.৩৬ মিলিয়ন ডলারের ফার্নিচার রপ্তানি করা হয়েছে। যা তার আগের অর্থ বছর থেকে ৩৮.৮৭ শতাংশ বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন, ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ফার্নিচার রপ্তানি হচ্ছে।