ঢাকায় একটি কাজ ছিল নোয়াখালীর আরিফুল ইসলামের। আগে ভেবেছিলেন, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা শেষে ১০ ডিসেম্বরের দিকে আসবেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। আরও আগে এসে গেছেন ঢাকায়, কাজ সেরে ১০ ডিসেম্বরের আগেই নোয়াখালীতে ফিরে যেতে চান তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ঢাকায় থাকা আশফাকুল হকের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের পরীক্ষা চলছে। ১০ ডিসেম্বরও পরীক্ষা রয়েছে। সেদিন ঢাকার পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা রয়েছে তার।
গত কিছু দিন ধরেই সাধারণ মানুষের আলোচনায় রয়েছে ১০ ডিসেম্বর। সে দিন কী হবে, তা নিয়ে কৌতূহল যেমন রয়েছে, তা ছাপিয়ে উঠছে উদ্বেগ।
ঢাকার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমত আরা জলি বললেন, “বাসে উঠবেন কিংবা অফিসে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে চায়ের টেবিলে কথা বলবেন, দেখবেন আলোচনায় উঠে আসে- ১০ ডিসেম্বর কী হবে?”
আর সবার অন্যদের মতো উদ্বেগ ফুটে উঠল এই শিক্ষার্থীর কথায়ও।
“বিএনপি নেতা কিংবা সরকারের মন্ত্রীদের কথা-বার্তা যা মিডিয়াতে প্রতিদিন দেখছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, ৯/১০ তারিখ ঝামেলা হবে। এমনিতে এখন রাতের বেলা দেখবেন বিভিন্ন পাড়ায় পুলিশ ও সাদা পোশাকে সদস্যদের আনাগোনা বেড়েছে। এটা তো স্বাভাবিক নয়।”
রাজনৈতিক নেতাদের কথামালায় আগামী ১০ ডিসেম্বর এখন হয়ে উঠেছে দেশে আলোচনা কেন্দ্রবিন্দু, যা অনেকটাই ফিরিয়ে আনছে দুই দশক আগের আব্দুল জলিলের ‘ট্রাম্প কার্ডের’ স্মৃতি।
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে, তখন দলটির সাধারণ সম্পাদক জলিল ওই বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতে আকস্মিক ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৩০ এপ্রিল ‘ট্রাম্প কার্ড’ ছাড়বেন তিনি, সেদিন ঘটবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পতন।
তার সেই কথা রাজনৈতিক অঙ্গন ছাপিয়ে সারাদেশেই তুলেছিল তুমুল আলোচনা। তবে ৩০ এপ্রিল পেরিয়ে গেলেও তেমন কিছু ঘটেনি।
এবার ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ ডেকে বিএনপি নেতাদের কয়েকজন সম্প্রতি বলেন, সেদিনের পর বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়।
তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরবেন, এমন কথাও বলছেন তাদের কেউ কেউ। কেউ আবার বলছেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে কারামুক্ত হয়ে ঘরে থাকা খালেদা জিয়াও ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে উপস্থিত হবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ৯০ এর গণআন্দোলনের সময়ে ডাকসুর ভিপি আমানউল্লাহ আমান গত ৮ অক্টোবর প্রথমে ১০ ডিসেম্বর সরকার পতনের কথা বলেন। এরপর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ আরও কয়েকজন নেতাও একই কথা বলেন।
বাংলাদেশে বরাবরই শীতকালে অর্থাৎ নভেম্বর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজনীতির মাঠ গরম থাকতে দেখা যায়। তবে গত কয়েক বছর ছিল তার ব্যতিক্রম।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপে ফেলার মতো কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। এরমধ্যে কোভিড মহামারী স্বাভাবিক রাজনৈতিক তৎপরতায়ও ছেদ ঘটায়।
তবে দীর্ঘদিনের ব্যর্থতা ঝেড়ে পরবর্তী নির্বাচনের এক বছর আগে বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে চাইছে বিএনপি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে চাপে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বাধ্য করতে এবার ‘হয় এসপার, নয় ওসপার’ করা তাদের লক্ষ্য।
আর তাতেই সাধারণের চোখে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ১০ ডিসেম্বর।
কী বলছে বিএনপি?
১০ ডিসেম্বর কী হবে, তা নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন নেতার কাছ থেকে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিলেও শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সেদিন ঢাকায় কেবল সমাবেশই হবে।
বিএনপি এখন বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করছে। অন্য সব বিভাগে সমাবেশের পর ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে ঢাকায়।
বিভাগীয় সমাবেশে লোকসমাগমে চাঙা বিএনপিকর্মীরা এবার আশায় বুক বাঁধছেন। মহিলা দলের কর্মী রুবিনা আখতার বলেন, “এতদিন আমরা জনগণের দুর্ভোগের বিষয়গুলো নিয়ে সভা-সমাবেশ করেছি, আন্দোলন করেছি। এবার সরকারের পতনের আন্দোলন শুরু হবে।”
“১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে আমাদের নেতারা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের প্রথম ধাপের কর্মসূচির ঘোষণা করবেন, এমনটাই আমরা আশা করছি,” বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতোপূর্বে বলেছেন,এক যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগকে হটাতে তারা ১০ ডিসেম্বর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
১০ ডিসেম্বর নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য তিনি বরং সরকারকে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার এমন আবহাওয়া তৈরি করেছে, যেন ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় একটা যুদ্ধ হবে।
বিএনপি নেতারা এখন বলছেন, বিভাগীয় সমাবেশ দুই মাস আগের ঘোষিত কর্মসূচি। অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো ঢাকারটিও সাধারণ একটি সমাবেশ।
ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “ঢাকার সমাবেশ কোনো জাতীয় সমাবেশ না। এটা একটি বিভাগীয় সমাবেশ। এরকম সমাবেশ অন্যান্য বিভাগেও হয়েছে।
“এনিয়ে সরকার যেভাবে আওয়াজ করছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা নিজেরা ভয়-আতঙ্কে আছে। তারা নিজেরা ভয় পেলে আমাদের কী করার আছে?”
সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির উপদেষ্টা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচিকে একটি সমাবেশের বাইরে কিছু বলে মনে করছেন না। সমাবেশ সফল করার উপরই মনোযোগ তার।
মির্জা আব্বাস বলেন, “ঢাকার মানুষের কাছে, ঢাকা বিভাগের কাছে এটা (১০ ডিসেম্বর) একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ যে, ১০ তারিখের সমাবেশকে আমাদের সফল করতে হবে।”
আওয়ামী লীগের শঙ্কা কোথায়?
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশের নামে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় এনে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে তারা খবর পেয়েছেন।
গত শুক্রবার ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১০ ডিসেম্বর দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে তারা (বিএনপি) জানান দিল, তারা সন্ত্রাস করবে, আবারও আগুন সন্ত্রাস ফিরে আসছে। খেলা হবে।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাকও সম্প্রতি বলেন, “১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি রাজধানীতে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।”
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছেড়ে বিএনপির নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চাওয়ার ক্ষেত্রেও ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। সমাবেশ ঘিরে বিএনপির জঙ্গি-যোগের শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
১০ ডিসেম্বর দলীয় কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের সম্মেলনে বলেন, “প্রত্যেক ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারা দেবে নেতা-কর্মীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল ক্যাম্পাসে, সারা বাংলাদেশে, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড সব জায়গায় সতর্ক পাহারা থাকবে।”
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলছেন, বিএনপি সরকারের নির্দেশ অমান্য করে নয়া পল্টনে বেআইনিভাবে সমাবেশ করে শান্তি ভঙ্গ করলে প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমুচিৎ জবাব দেবে।
স্থান নিয়ে টানাপড়েন
বিএনপি নয়া পল্টনে তাদের কার্যালয়ের সমাবেশ করতে চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করতে বলা হচ্ছে। তাতে আবার রাজি নয় বিএনপি।
সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির উপ সমন্বয়কারী আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম জানান, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবেন না। তাদের সমাবেশের স্থান নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই।
কেন নয়া পল্টনে- জানতে চাইলে আমান বলেন, “আমরা নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে চিঠি দিয়েছি দুই দফা। পুলিশে সেটা বিবেচনায় না এনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
“সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চতুর্দিকে ঘেরা, লোকজন প্রবেশের একটা মাত্র ছোট গেইট। বেরুনোর পথও সেই গেইট। ফলে এখানে আমাদের সমাবেশ করা সম্ভব নয়।”
বিএনপি বেশ আগেই নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে চেয়ে পুলিশকে চিঠি দেয়। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ ২৬ শর্তে বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর জনসভা করতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই করতে হবে।
তবে তার জবাবে ফখরুল বলেন, কোনোভাবেই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবেন না। অনুমতি না পেলে তার তোয়াক্কা না করেই তারা নয়া পল্টনে সমাবেশ করবেন।
তবে রোববার বিএনপি নেতারা ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বলে আসেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা যাবেন না, তবে তার বিকল্প ‘গ্রহণযোগ্য’ স্থান দেখাতে পারলে তারা সেটা বিবেচনা করতে পারেন।
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, “বিএনপির প্রতিনিধি দল নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য কমিশনার মহোদয়কে অনুরোধ করেছেন।
“একই সঙ্গে তারা বলেছেন যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৃতীয় পক্ষ কোনো অঘটন ঘটিয়ে বিএনপির উপর দায় চাপাতে পারে।”
সেক্ষত্রে সিদ্ধান্ত কী দাঁড়িয়েছে- জানতে চাইলে উপ-কমিশনার ফারুক বলেন, “ডিসি মতিঝিল হায়াতুল ইসলাম খান ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে মতিঝিল, আরামবাগ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখে প্রতিবেদন কমিশনারকে জানাবেন।”
এরপরই বিষয়টির ফয়সালা হবে বলে আশা করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উদ্বেগ কাটছে না
এর আগে বিএনপি যে যে বিভাগে সমাবেশ করেছে, সেখানেই ডাকা হয় পরিবহন ধর্মঘট, যাতে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিএনপির অভিযোগ, তাদের নেতা-কর্মীদের আসতে বাধা দিতে ক্ষমতাসীনদের ইন্ধনে এই ধর্মঘট ডাকা হয়। তবে এতে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করছে আওয়ামী লীগ নেতারা।
ঢাকার সমাবেশ ধরেও তেমনটা হওয়ার শঙ্কা থেকে যাচ্ছে মানুষের। আবার সমাবেশের স্থান নিয়ে দুই পক্ষের বিপরীত অবস্থানে সংঘাতের শঙ্কাও জেগে উঠছে।
নারায়ণঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা একটি বেসরকারি বিমা কোম্পানিতে কর্মরত জুবায়ের আহমদও তার ভুক্তভোগী হচ্ছেন।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি কথার ফাঁকে বললেন, সামনে ১০ তারিখ আছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসবেন না। সেজন্য তিনি আমাকে ১৭ তারিখ ডেট দিয়েছেন।”
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে পুলিশ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই অভিযানে বিভিন্ন হোটেল, মেস, হোস্টেলেও ঘুরবে পুলিশ। তাতেও সমস্যায় পড়তে হবে অনেককে।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফরিদা কানিজ বলেন, “আমার এক আত্মীয় কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় এসে শুক্রবার একটি হোটেলে উঠেছে। তার কাছে শুনলাম, হোটেল ম্যানেজার তাকে জানিয়ে দিয়েছে যে, ৭/৮ তারিখেই হোটেল ছেড়ে দিতে হবে। কারণ পুলিশি অভিযান নাকি হোটেলেও শুরু হয়েছে।”
“টেলিভিশন খুললে যেভাবে সরকারের মন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য শুনি, তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না। আমরা চাকরি করি। বাচ্চারা স্কুল-কলেজে পড়ে। সেজন্য টেনশনটা বেশি,” বলেন রাজধানীর এই বাসিন্দা।