Loading...
The Financial Express

হৈ চৈ হওয়ায় বিব্রত, তবে ইসি বিচলিত নয়, জানালেন রাশেদা সুলতানা

| Updated: October 11, 2022 13:18:22


গত শনিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ডিসি ও এসপিরা। ফাইল ছবি/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম গত শনিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ডিসি ও এসপিরা। ফাইল ছবি/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

সভায় ডিসি-এসপিদের হৈ চৈয়ে ‘বিব্রত’ হয়েছে নির্বাচন কমিশন, তবে তাতে বিচলিত নন বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

মাঠ প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসির সভার দুদিন পর সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

গত শনিবার নির্বাচন ভবনে ওই সভায় নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান ভোটে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পক্ষপাতের অভিযোগের কথা তুলে ধরেছিলেন। তখন ডিসি-এসপিরা হৈ চৈ শুরু করলে বক্তব্য অসমাপ্ত রেখেই বসে পড়েন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, “হৈ চৈ করাটা তাদের ঠিক হয় নাই৷ এটা সত্য কথা। পরিবেশটা তৈরি হওয়াটা কোনোভাবেই ঠিক হয় নাই। সাময়িকভাবে বলবো মনে একটু খারাপ লাগছে।

“বিব্রত তো বটেই, কারণ ও রকম একটা ঘটনা কে চায়? মাথার মধ্যেই তো আনতে পারি নাই যে ওরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। যেটা গেছে গেছে, ওটা নিয়ে আমরা এত বিচলিত না।”

কোনো দলের হয়ে কাজ করা যাবে না, ডিসি-এসপিদের প্রতি সিইসি

সহকর্মীর পক্ষে দাঁড়িয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “উনার (আনিছুর) কথার প্রক্ষেপনটা ওনাদের ভালো লাগেনি। তবে কথাগুলো সত্য এবং অমূলক নয়।”

নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে ডিসি-এসপিদের বাধা দেওয়ার ঘটনাটি যে আলোচিত, তা গোচরে এসেছে নির্বাচন কমিশনার রাশেদার।

তিনি বলেন, “এটা নিয়েই গোটা দেশ মাতামাতি। সবাই এটা নিয়ে সোচ্চার। প্রসঙ্গগুলো সত্য৷ হয়ত বলার ধরনটা ওনারা নিতে পারেন নাই।”

তবে একে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবেই দেখছে ইসি।

রাশেদা বলেন, “রিঅ্যাক্ট করার মানেই এই না যে উনারা সার্বিক দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। উনারা বলেছে ইসি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে কাজ করবে। বিচ্ছিন্ন বিষয়ের জন্য তারা আমাদের সহযোগিতা করবে না এটা আমি বিশ্বাস করি না।”

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাওয়ার বিষয়ে রাশেদা বলেন, “কমিশনের আসলে উদ্যোগ নেওয়ার স্কোপ নাই। এই প্রক্রিয়া আমাদের সময়ে শুরু হয় নাই। আমরা এন্ডিং অবস্থায় পাচ্ছি। বিষয়টা পুরোটাই সরকারের পলিসির ব্যাপার।”

‘ইভিএমের গোপনকক্ষে অযাচিত লোক নয়’

গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ায় গেপানীয়তা রক্ষায় রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য প্রদর্শনে আইনানুগ ব্যবস্থার গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে এ নির্দেশনায়।

আগামী মঙ্গলবার সংসদের গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন এবং ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এসব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।

রোববার ইসির যুগ্ম সচিব পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ভোটকেন্দ্রে ভোট চলাকালে গোপনকক্ষে কোনো ভোটার ব্যালট বা ইভিএমে ভোট প্রদানের সময় গোপনকক্ষে বা উহার নিকটস্থ চিহ্নিত স্থানে অবৈধভাবে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তি যাতে ভোট প্রদানের গোপনীয়তাকে বাধাগ্রস্ত না করেন, তা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।”

এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ওই কক্ষের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে।

 

Share if you like

Filter By Topic