বাংলাদেশ পুলিশে যুক্ত হতে যাওয়া দুটি হেলিকপ্টার আকাশে উড়াতে একজন নারীসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
রাশিয়া থেকে আগামী সপ্তাহে এই দুটি হেলিকপ্টার দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গত জুলাই মাসের শুরু থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘এভিয়েশন বেসিক কোর্স-১২’ সম্পন্ন করেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার হোসাইন, মুশফিকুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও আবুল হোসাইন।
সোমবার ঢাকার তেজগাঁও আর্মি এভিয়েশন গ্রুপে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এই চার পুলিশ সদস্যসহ সেনা ও নৌবাহিনীর মোট ১০ জন নতুন বৈমানিককে ‘ফ্লাইং ব্রেভেট’ পরিয়ে দেন এবং হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।
বাংলাদেশ সেনাোহিনীর একমাত্র উড্ডয়ন প্রতিষ্ঠান ‘আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ’ ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে।
আইএসপিআর জানায়, নতুন ১০ বৈমানিকের ব্রেভেট ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, নৌবাহিনীর সহকারী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক, বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারের অধিনায়ক এয়ার মার্শাল মো. জাহিদুর রহমান, আর্মি এভিয়েশনের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল আই কে এম মোস্তাসেনুল বাকী উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের অ্যাভিয়েশন উইংয়ের এআইজি আফরিদা রুবাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পুলিশের দক্ষতা বাড়াতে ২০১৯ সালে সরকার দুটি হেলিকপ্টার কেনার অনুমোদন দেয়। রাশিয়া থেকে হেলিকপ্টার দুটি আগামী সপ্তাহে দেশে আসার কথা রয়েছে জানিয়ে আফরিদা রুবাই বলেন, নতুন চার পাইলটকে নিয়ে এবছরই যাত্রা শুরু করবে পুলিশ এভিয়েশন উইং।
পুলিশ এভিয়েশনের সদস্য নতুন বৈমানিক ফাতেমা-তুজ-জোহরা এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে অ্যাভিয়েশন উইংয়ে যোগ দিতে ইচ্ছুকদের নাম চাওয়া হলে তিনি আকাশে উড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এক বাক্যে সম্মতি দেন।