দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু করা হয়েছে।
ফুলবাড়ীর মেসার্স গুপ্তা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৫টি ভারতীয় ট্রাকে ১২৭ টন কয়লা আমদানি করে।
আজ ভারতীয় ট্রাকে কয়লাগুলো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ। খবর বাসস এর।
দিনাজপুর হিলির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স টপলাইন এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আব্দুস সোবহান বলেন, দুপুরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর মেসার্স গুপ্তা এন্টারপ্রাইজ ১২৭ টন কয়লা আমদানি করে। কয়লাগুলো ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার রাণীগঞ্জ নামক স্থান থেকে আমদানি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কয়লার শুল্ক, গাড়ি ভাড়া, লেবার খরচ করার পর বলা যাবে কতো টাকা প্রতিটন দরে এই কয়লা বিক্রি করা যাবে। যদি আমদানি করা কয়লার দেশের ভাটা মালিকদের ইট পোড়ানোর কাজে সহায়ক হয় বা ইট পুড়িয়ে মুনাফার আসা থাকে তবেই ইটভাটা মালিকদের চাহিদা অনুযায়ী কয়লা আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সুত্রটি জানায়, গত দুইবছর করোনার ভয়াবহতার কারনে দেশের একমাত্র কয়লা খনির বড় পুকুরিয়ার দেশি-বিদেশী শ্রমিকদের করোনা আক্রান্ত এবং খনি এলাকায় অবাধ চলাফেরায় বিধি-নিষেধ থাকায় ভু-গর্ভস্থল থেকে কয়লা উত্তোলন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ছিল। ফলে বড় পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাহিদা পূরণ করতে খনি কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছিল। এ সব কারনে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাহিদা পূরণ করে ভাটা মালিকদের নিকট কয়লা বিক্রি করা বন্ধ ছিল। এবার খনি থেকে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। কিন্তু খনিতে কয়লার মজুদ না থাকায় ভাটা মালিকেরা বড় পুকুরিয়া থেকে তাদের ইট পোড়ানোর জন্য চাহিদা অনুযায়ী কয়লা সংগ্রহ করতে পারছেন না। ফলে ভারত থেকে কয়লা আমদানির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এ জন্য কয়লা আমদানি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ বলেন, ভারতীয় ট্রাক থেকে কয়লা খালাস করা হয়েছে। কাস্টমস ও পানামা পোর্টের কার্যক্রম শেষে কয়লাগুলো ছাড়পত্র করা হয়েছে।