সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে এককালীন অন্তত ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রেখে জারি করা হয়েছে ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২’।
সড়ক পরিবহন আইন হওয়ার চার বছরেরও বেশি সময় পর বিধিমালাটি হল। এ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় গত ২৭ ডিসেম্বর।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে আর্থিক সহায়তার পরমাণ হবে এককালীন অন্যূন ৫ লাখ টাকা; দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে অন্যূন ৩ লাখ টাকা।
এছাড়া গুরুতর আহত বা চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকলে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে ৩ লাখ টাকা। চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে অন্যূন এক লাখ টাকা।
সরকারের অনুমোদনে ট্রাস্টি বোর্ড আর্থিক সহায়তার পরিমাণ কমাতে ও বাড়াতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয় বিধিতে।
আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্যে দুর্ঘটনা ঘটার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি একটি ট্রাস্টি বোর্ড নিষ্পত্তি করবে।
এসব বিধান রেখে সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ জারি করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলে। এ সময় কয়েক বছর ধরে ঝুলে থাকা আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়।
বেপরোয়া মোটরযানের কবলে পড়ে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজার বিধান রেখে ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত ‘সড়ক পরিবহন বিল’ সংসদে পাস হয়।
বিধিমালা না হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল, আন্দোলনে নামেন মালিক-শ্রমিকরাও। সেই পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, “বিধি পেলে আর কোনো সঙ্কট থাকবে না। জেব্রাক্রসিং, সাইন অ্যান্ড সিগনাল এগুলো বিধিতে আছে। মূল বিষয়টা হল শৃঙ্খলা; সড়কে ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। সেটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট, আর সেটাই আমোদের ফোকাস।”