যুক্তরাষ্ট্রে ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি’ প্রমাণে গবেষণা ভিত্তিক ‘এপিআই’ চালু করেছে টিকটক। এর ফলে, প্ল্যাটফর্মের ডেটায় তুলনামূলক বেশি লোকজন প্রবেশাধিকার পাবেন।
কোম্পানির ‘কনটেন্ট অ্যান্ড সেইফটি অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল’ সদস্যদের সাহায্যে ২০২২ সাল থেকে এই এপিআই’র বেটা পরীক্ষা চালিয়ে আসছিল ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি। আর এখন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অলাভজনক সংস্থার গবেষকদের জন্য এটি উন্মুক্ত করেছে টিকটক।
টিকটক এমন সময়ে প্ল্যাটফর্মের বাইরের ব্যক্তিদের এই ডেটায় প্রবেশাধিকার দিচ্ছে, যখন এটি প্রমাণের চেষ্টা করছে যে তারা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ডেটায় প্রবেশাধিকার পেতে আগ্রহী বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষকদের জমা দেওয়া বিভিন্ন প্রস্তাবনায় টিকটকের নতুন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ইউএস ডেটা সিকিউরিটি (ইউএসডিএস)’র অনুমোদন লাগবে। আর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জাতীয় নিরাপত্তা আইন মেনে চলার লক্ষ্যে।
এর অনুমোদন পাওয়া ব্যক্তিরা পাবলিক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি অ্যাপে পোস্ট করা বিভিন্ন কনটেন্টের তথ্যেও প্রবেশাধিকার পাবেন। এর উদাহরণ হিসেবে ব্যবহারকারীর ‘প্রোফাইল’, ‘কমেন্ট’, ‘লাইক’, ও ‘ফেভোরিটস’ অপশনের বিস্তারিত তথ্যের বিষয় রয়েছে।
এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণ প্রজন্মের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার ও সামগ্রিকভাবে তথ্যের বিকল্প উৎস সম্পর্কে গবেষকদের জানার সুযোগ দিতে পারে টিকটকের নতুন এপিআই।
অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম একই ধরনের সুবিধা দিলেও অন্তত টুইটারের বেলায় শীঘ্রই ব্যবহারকারীদের এটি ব্যবহারের জন্য আর্থিক ফি দিতে হবে।
কোম্পানিটি মার্কিন সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বছরের পর বছর সময় নিলেও সম্প্রতি বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য সরকারী মালিকানাধীন ডিভাইসে অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাশাপাশি, গোটা যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার দাবিও উঠেছে।