সূর্যের একটি ‘অদ্ভুতুড়ে’ ছবি তুলেছে নাসা’র ‘সোলার ডাইনামিক্স অবজারভেটরি (এসডিও)’। বিশেষ এই ছবির বৈশিষ্ট্য হলো এতে হাসছে সৌরজগতের কেন্দ্রীয় চরিত্র সূর্য।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’ বলছে, নাসার পোস্ট করা এই ছবি দেখে নক্ষত্রটিকে হ্যালোইনের ‘খোদাই করা কুমড়ো’র সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেক টুইটার ব্যবহারকারীই।
ছবিতে এমন মিলের পেছনে ‘খানিকটা চমকপ্রদ বিজ্ঞান’ থাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
“অতিবেগুনি রশ্মিতে দেখা যায়, সূর্যের ওপর থাকা এইসব অন্ধকার ছোপ ‘করোনাল হোল’ নামে পরিচিত। আর এগুলো সূর্যপৃষ্ঠের এমন জায়গা, যেখান থেকে সূর্য থেকে বাইরের দিকে দ্রুতগতির সৌর বাতাস প্রবাহিত হয়।” --বলেছে নাসা।
এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূর্য ক্রমাগত সৌর বাতাস পাঠাচ্ছে। কখনও কখনও এইসব ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতেও পৌঁছে যায়, যেমনটি ১৯৮৯ সালে ঘটেছিল কানাডায়।
হ্যালোইন উৎসব ঘিরে ব্যস্ত একটি সপ্তাহ কাটিয়েছে নাসা। এই মৌসুমের কথা বিবেচনা করে সম্প্রতি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ‘ইগল নেবুলা’র একটি ছবিও তুলেছে সংস্থাটি, যা দেখতে অনেকটা ‘ভৌতিক হাতের’ মতো।
‘এসডিও’ এই প্রথম সূর্যের চমকপ্রদ ছবি তুলেছে, বিষয়টি এমন নয়।
২০১৬ সালে, সূর্যের ‘ডিগবাজি দেওয়ার’ একটি অ্যানিমেশন প্রকাশ করেছিল নাসা। নক্ষত্রের প্রান্তের সঠিক পরিমাপ নিতে এসডিও’র বছরে একবার সম্পন্ন করা একটি সাত ঘণ্টা দীর্ঘ কৌশলের ফলাফল ছিল এটি।