টানা ছুটির মধ্যে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও বড় ধরনের লোড শেডিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছে ঢাকাবাসীকে; কোথায় কখন বিদ্যুৎ থাকবে না সেই সূচি অনেকটাই ‘অকার্যকর’ হয়ে পড়েছে ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায়।
শুক্রবার দিনে ও রাতে সমানতালে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বিশেষ করে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর বেশি সময় বিদ্যুতের যাওয়া আসা দেখেছে রাজধানীবাসী; বিতরণকারী কর্তৃপক্ষও অবস্থা ‘নাজুক’ বলে মেনে নিচ্ছে। তারা বলছে, লোড শেডিংয়ের সূচি দিয়েও ইদানীং তা রক্ষা করা যাচ্ছে না।
বিদ্যুতের জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গত মঙ্গলবার বড় ধরনের বিভ্রাটের পর গত তিন দিনে লোড শেডিং বেশি বেড়েছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলোও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
‘শুক্রবারও লোড শেডিংয়ের খুব খারাপ অবস্থা’ মন্তব্য করে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার এলাকায় ছুটির দিনে ১৪৫০ মেগাওয়াট চাহিদা থাকলেও পেয়েছেন ৯৫০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াট।
ঢাকার অপর অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ডেসকোর এমডি কাউসার আমির আলী জানান, সম্প্রতি দৈনিক গড়ে ১০০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট লোড শেডিং করা হচ্ছে।
বিদ্যুতের চাহিদা না বাড়লেও উৎপাদন কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যে কারণে রাতেও শোড শেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের জন্য সমস্যা হচ্ছে- দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের স্বল্পতার জন্য এটা হচ্ছে।“
শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমার প্রায় ৬৭ মেগাওয়াট লোড শেড আছে। …আমাদের জন্য খুব অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সিডিউল দিয়েও সিডিউল রাখতে পারছি না, বিষয়টি হচ্ছে- এ রকম।”
মঙ্গলবার দুপুরে সঞ্চালন লাইন অকার্যকর হয়ে পড়লে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়; এতে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ) অন্তত সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ঢাকায় এলাকাভেদে কয়েকদিন ধরে চার থেকে পাঁচবারের লোড শেডিংয়ে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না বলে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে। এমনকি টানা ছুটিতে অনেক পরিবারের রাজধানীর বাইরে বেড়াতে যাওয়ার মধ্যে শুক্রবার ছুটির দিনেও লোড শেডিং তীব্রতর হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর বিদ্যুৎ বিতরণকারী দুই কোম্পানি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) লোড শেডিং সূচি পর্যালোচনা করেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
ডিপিডিসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কমপ্লেইন সুপারভাইজার টিংকু রঞ্জন দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কোনো কোনো এলাকায় দুই ঘণ্টা পরপর শোড শেডিং হচ্ছে। এরপর যদি কোনো কাজ থাকে, তখন সময়টা আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট দীর্ঘায়িত হয়।
“এটা সারাদেশেই হচ্ছে,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অথচ সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে লোড শেডিং থাকবে না বলে মাস দেড়েক আগে আশার কথা শুনিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গত ১৪ অগাস্ট এক সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, “আমি আশাবাদী আগামী মাসের শেষ থেকে আমরা পুরোপুরি এই লোড শেডিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। বিশ্ব পরিস্থিতি এর থেকে খারাপ না হলে আমরা ভালোর দিকে যাব বলে আশাবাদী।”
‘সহনীয়’ নেই আর
পৌনে তিন বছরের সন্তান নিয়ে তিন জনের সংসার একাই সামলান রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ার বাসিন্দা তানজিনা আফরিন। সকাল থেকে রাত অবধি রুটিন ধরে সাংসারিক কাজ চালিয়ে আসলেও তাতে বারবার ছেদ পড়েছে লোড শেডিং বেড়ে যাওয়ায়, পাল্লা ভারি হয়েছে দুর্ভোগেরও।
কয়েক দিনের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে তিনি বললেন, “এখন দিনে যেমন কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না, গভীর রাতেও বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আবার খুব সকালেও লোড শেডিং হচ্ছে। বুধবার দিনে দুই বেলা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না, রাত ৯টায় আবার চলে যায়, আসে ১০ টায়।
“এরপর নিজেরা বাসার কাজকর্ম শেষ করে বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমাতে গেলাম, রাত ১টায় আবার চলে গেল। রাত ২টায় বিদ্যুৎ এল। এরপর সকাল ৬টায় আবার চলে যায়।”
বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে ভোগান্তির পাশাপাশি বাসায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি দিনে-রাতে ঘণ্টা খানেক করে চার-পাঁচবার বিদ্যুৎ যাওয়ায় ঢাকা মহানগরে এ পরিবারের মত অনেকের কাছে লোড শেডিং আর সহনীয় মাত্রায় নেই।
পড়াশোনায় ব্যাঘাতের কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা আর ক্রেতা সংকটের কথা জানাচ্ছেন দোকানিরা।
অথচ জুলাইয়ে পরিকল্পিতভাবে লোড শেডিং শুরুর এক মাসের মাথায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ‘সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে আর থাকবে না’ এ দুর্ভোগ।
শুক্রবারের সূচি
ডিপিডিসির আওতাধীন জুরাইন এলাকায় শুক্রবার ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লোড শেডিং থাকছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ধানমণ্ডি, মগবাজার, আজিমপুর, খিলগাঁও, কাজলা, মাতুয়াইল, ডেমরায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা; শেরেবাংলা নগর, বনশ্রী ও বংশালে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লোড শেডিং হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ডেসকোর অধীন ঢাকা শহরের উত্তর ও পূর্ব অঞ্চলে শুক্রবার শোড শেডিং কিছুট কম বলে উল্লেখ করা হয়। বেশির ভাগ এলাকায় দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা শোড শেডিং হওয়ার আগাম বার্তা দেওয়া হয়েছে।
দুর্ভোগের দিনরাত্রি
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকায় আগে ২-৩ বার লোড শেডিং হলেও এখন হচ্ছে ৪-৫ বার।
এখানকার বাসিন্দা আহমেদ কাউসার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, “প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে। জুম্মার নামাজের আগে কারেন্ট ছিল না। নামাজের সময় ছিল। দুপুরের খাওয়ার মধ্যে আবার কারেন্ট চলে গেছে।”
মঙ্গলবার জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর থেকে লোড শেড অসহনীয় হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি জানালেন, যখন বিদ্যুৎ বেশি প্রয়োজন, তখন তা মিলছে না।
লোড শেড বাড়ায় পানির ভোগান্তির কথা তুলে ধরে কামরাঙ্গীরচরের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এই এলাকায় দিনে চারবারের মত বিদ্যুৎ যাচ্ছে। বিদ্যুৎ গেলে অনেক সময় দুই ঘণ্টার আগে আসছে না।
বেসরকারি চাকরিজীবি হাসান আহমেদ বলেন, “মাঝরাতে তো কারেন্ট থাকছে না। এত গরমে তো মোমবাতি দিয়ে পড়া সম্ভব না। আর পানির ভোগান্তিটা বলে বোঝানো যাবে না।"
মুগদা এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান, সিডিউল অনুযায়ী লোড শেডিং হওয়ার কথা থাকলেও তার বাইরেও বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
রাজধানীর শনির আখড়া এলাকার গৃহবধূ রোকসানা স্বর্ণার ভাষ্যও একই রকম। তার কথায়, “আমাদের এলাকায় দিনে চার ঘণ্টার মত লোড শেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে ওভেনে ছোট বাচ্চার খাবার গরম করতে সমস্যা হয়, যদিও চুলা আছে কিন্তু গ্যাসও থাকে না প্রায় সময়। রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে মশা বাড়ে। সাথে পানির সমস্যা তো আছেই।”
বিপাকে তারাও
রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁওয়ের মনিরা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম জানান, লোড শেডিং বেড়ে খরচ-দুর্ভোগ দুটোই বেড়েছে। সেবাদাবকারী প্রতিষ্ঠান মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কিছু করার নেই।
“আগে যেখানে আমাদের জেনারেটরে মাসে ২০ লিটার তেল লাগত, সেখানে এখন লাগে ৩০-৩৫ লিটার। গ্রিড বিপর্যয়ের সময় তো আরও ভয়াবহ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। সক্ষমতার কম রোগী নিয়ে, এনসিইউ ছাড়া কোথাও এসি না চালিয়ে আমরা চলেছি।”
উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে আইটি ফার্ম টিকন সিস্টেম লিমিটেডের কর্মকর্তা আল মনসুর সিদ্দিকি বলেন, “আমাদের এইখানে বিদ্যুৎ যাচ্ছে অহরহই। জেনারেটর থাকলেও তা সব প্রয়োজন তো মেটাতে পারছে না। এসি বন্ধ থাকছে, ডিভাইসের ক্ষতি হচ্ছে। কাজের পরিবেশে বিঘ্ন ঘটছে ফলে আমাদের প্রোডাক্টিভিটিও কমে গেছে।”
১৭ শতাংশ উৎপাদন কমে যাওয়ার কথা জানিয়ে নিকুঞ্জ ২ এ একটি স্টার্ট-আপ কোম্পানিতে কর্মরত আতিউর রহমান নূর বলেন, “আমাদের অফিসে দিনে ন্যূনতম এক ঘণ্টা করে নষ্ট হচ্ছে। পুরো বৈশ্বিক সংকট বিবেচনা করলে এই লোড শেডিং মেনে নেওয়া যায়।
“কিন্তু সরকারের এই সংকট ব্যবস্থাপনা ঠিক নেই। সরকারের উচিত ঠিক পলিসি খুঁজে বের করা এবং সেটা প্রয়োগ করা।”
বিদ্যুৎ বিভাগ এক ঘণ্টা লোড শেডিংয়ের ‘মিথ্যা ঘোষণা’ দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ করেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তার ভাষ্য, “এক ঘণ্টার কথা বলে লোড শেডিং হচ্ছে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন ও গুণগত মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে ডিমান্ড চার্জ আদায় করছে তারা। কিন্তু নিয়মিত বিদ্যুৎ দিতে পারছে না, এটি আরেকটি প্রতারণা।”
বংশালের লন্ড্রি দোকানি হানিফ সরদার জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি প্রতিদিনের কাজ শেষ করতে পারছেন না।
“এতবার করে কারেন্ট চলে গেলে কাস্টমারদের ডেলিভারি দিব ক্যামনে। আবার বার বার কারেন্ট গেলে বিলও আসে বেশি। আগে তো এই সমস্যা ছিল না। গত ৫ দিন ধরে সমস্যাটা বেড়ে গেছে। এমন হলে ব্যবসা করব ক্যামনে?”
মিরপুর ১২ নম্বরেও দিনে ৩-৪ বার বিদ্যুৎ থাকছে না জানিয়ে লেডিস ফ্যাশন টেইলার্সের মালিক জামাল হোসেন জানালেন, এতে সময়মত কাজ শেষ করতে পারছেন না।
মিরপুর ১১ নম্বরের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী রাজ আরেফীন রাজীব বলেন, “আমাদের এই ব্যবসায় বিক্রি হয় বিকাল থেকে সন্ধ্যার দিকে। এই সময়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ চলে যায়।”
পড়াশোনায়ও ব্যাঘাত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানিয়া জামান থাকেন বনশ্রীতে। তিনি বলছিলেন, “সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। কিন্তু বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়তে পারছি না ঠিকমত।“
কুড়িল বিশ্বরোড মেম্বারবাড়ি এলাকার তানভীর তিয়াস জানালেন, দিনের বেলা অন্তত তিনবার বিদ্যুৎ যায়। রাতে সব সময় যায় না, মাঝে মাঝে যায়। ছাত্রদের মেসে থাকেন তারা। গরমের এ সময়ে পড়াশোনাসহ নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় দিনে চার থেকে পাঁচবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহির আমির মিলন পড়াশোনা বিঘ্ন হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, “মূল ব্যাপার হল, এই পরিবেশের সাথে তো আমরা অভ্যস্ত না। একেবারেই সহ্য করতে পারছি না।”
কী বলছে কর্তৃপক্ষ
শুক্রবারের লোড শেডিং পরিস্থিতি তুলে ধরে ডিপিডিসির এমডি বিকাশ দেওয়ান বলেন, “আজকে ছুটির দিনে ৪০০-৪৫০ মেগাওয়াট আমার গ্যাপ। তাহলে কীভাবে আমি চাহিদা মেটাব? আমি চেষ্টা করেছি, লোড শেডিং সহনীয় করতে। কিন্তু এখন আর পারছি না।”
কবে এই সমস্যার সমাধান হবে, তার উত্তর জানা নেই এই কর্মকর্তার। তবে উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প দেখছেন না তিনি।
“রামপাল, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসে তাহলে হয়ত এই সমস্যার সমাধান হবে। নইলে ডিসেম্বরে যখন আমাদের চাহিদা কমে আসবে, তখন থেকে লোড শেডিং কমবে। দেখা যাক, আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
ঢাকার অপর অংশের বিতরণ কোম্পানি ডেসকোর এমডি কাউসার আমির আলী বলেন, আমরা সিডিউল দিয়েও সিডিউল রাখতে পারছি না, বিষয়টি হচ্ছে- এ রকম।”