বিদেশি কোচের দেনা-পাওনা ইস্যুতে আবারও ফিফার নির্দেশনা পেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ জেমি ডের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি বাফুফেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
জরিমানার অঙ্কটা অবশ্য প্রকাশ করেনি বাফুফে। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ নির্দেশনা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, আইনি দিক খতিয়ে দেখছেন তারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক প্রধান প্রশিক্ষক জেমি ডে তার বেতন ভাতা সম্পর্কিত বিষয়ে ফিফার নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে ফিফা কর্তৃক উক্ত আবেদন আংশিকভাবে গ্রহণ করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ পরিশোধের অনুরোধ জানায়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফিফার নিকট যথাযথ আপিল প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য বাফুফের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে।”
বাফুফের সঙ্গে জেমির চুক্তি ছিল এ বছরের অগাস্ট পর্যন্ত। কিন্তু গত বছর অক্টোবরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৫ দিন আগে তাকে ‘ছুটি’ দেওয়া হয়। দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় বসুন্ধরা কিংসের সে সময়কার কোচ অস্কার ব্রুসনের হাতে।
সাফে ব্যর্থ মিশন শেষে ব্রুসন ফিরে যান কিংসের দায়িত্বে। এরপর শ্রীলঙ্কার চার জাতি ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালন করেন আবাহনী লিমিটেডের কোচ মারিও লেমোস। ওই প্রতিযোগিতা শেষে আবাহনীর ডাগআউটে ফিরে যান লেমোসও। তারপরও ফেরানো হয়নি জেমিকে।
চলতি বছরের শুরুতে বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে হাভিয়ের কাবরেরাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। সেই থেকে এই স্প্যানিশের কোচিংয়ে খেলছে বাংলাদেশ দল।
ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেমি তাই দেনা-পাওনার জন্য ফিফার দারস্থ হয়েছিল। বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা এসেছে। বাফুফেও চেষ্টা করছে সমঝোতায় পৌঁছানোর।
এর আগে ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ ও তার সহকারী রেনে কোস্টারের সাথেও বেতন-ভাতা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল বাফুফের। সেবারও ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটিকে।