Loading...
The Financial Express

সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা: মান্না

| Updated: October 28, 2022 21:10:07


সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা: মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না মনে করেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের ‘পতনের ঘণ্টাবেজে গেছে, এখন শুধু ‘সময়ের অপেক্ষা

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন,“পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, আমি মনে করি, এই সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে। চীনের মাও সেতুং একটা কথা বলতেন, আমাদের ওই শাসকগোষ্ঠীর পতন অত্যাসন্ন। ও মারা গেছে মনে করো, কীভাবে দাফন করবে সেটা ঠিক করো।

এক সময় আওয়ামী লীগ করা মান্না গত নির্বাচনে ছিলেন বিএনপির জোটসঙ্গী। এবার বাম-ডানের মিশেলে গণতন্ত্র মঞ্চ নামে নতুন জোটের সঙ্গে তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের পতন শুধু দিনের ব্যাপার। সময় গুনতে থাকবেন। এরকম একটা পরিস্থিতি আসবে, যখন জনগণ নামবে, দেশের অর্থনীতি খারাপ হয়ে যাবে। সব কিছু মিলে সরকারের পালাবার পথ থাকবে না। পালাবার পথ থাকবে না মানে পালানো ছাড়া উপায় থাকবে না, ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।

বিএনপির মত নাগরিক ঐক্যও বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে রাজি নয়, তাদের দাবি নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। আলোচনা অনুষ্ঠানে সেই ব্যাখ্যাও মান্না দেন।

 আপনারা বলেন কেয়ার টেকার সরকার, তাই তো? আমি বলি, আমাদের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ বলে, অন্তর্বতীকালীন সরকার। কেয়ারটেকার সরকার মানে শুধু নির্বাচন করবে। কীভাবে ভালো নির্বাচন হয় তার কেয়ার করবে।এই সময়ের মধ্যে দেশে যে জিনিসপত্রের দাম এত বেশি, সে ব্যাপারে তারা কিছু করতে পারবে? এই সময়ের মধ্যে চুরি-ডাকাতি যদি হয়, এই সময়ের মধ্যে ১০টা মেয়েকে যদি রেপ করা হয়, তাহলে সে করতে পারবে না কোনো ব্যবস্থা। এই যে কারো চাকরি নেই, কিছু করবে পারবে না।

 যদি এরকম হয়, সরকার পড়ে গেছে, কিন্তু পুলিশ যেরকম আছে সেরকমই আছে। ভালো ভোট করতে পারবেন মনে করেন? পুলিশ এবং প্রশাসনকে এ সরকার যেভাবে পরিচিত করেছে, যদি এটাকে ঢেলে সাজাতে না পারেন, তাহলে ভোটও করতে পারবেন না ভালোভাবে। এই কারণে আমরা বলি অন্তর্বতী সরকার। যে সরকার সেইরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করবে, যাতে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়।

বর্তমান সরকারকে সেইরকম একটি সরকারের হাতে ‘ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাওয়ারআহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, “বিএনপিও একটা কেয়ারটেকার সরকার চায়। সেই অন্তর্বতী ব্যবস্থার জন্য আমরা যেন তৈরি থাকি এবং একটা সুন্দর গণতান্ত্রিক নির্বাচন করবার জন্যে যাতে সমস্ত অবস্থা তৈরি করি, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। শর্ত হচ্ছে- এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, এই নির্বাচন কমিশন থাকতে পারবে না, এই সংসদ বাতিল করতে হবে এবং ইভিএম চলবে না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, “এই কয়টা শর্তের কোনটার সাথে কোনো কমপ্রোমাইজ নাই। আমরা প্রশাসনকে ঢেলে সাজাব, নির্বাচন করবার উপযুক্ত করব এবং দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি বলব, গণতান্ত্রিক জনতার জয় হবেই হবে।

বিএনপির সমাবেশগুলোতে লোকসমাগমের প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, “বিএনপির সমাবেশে মানুষ জেগেছে। মানুষ আওয়ামী লীগকে ছেড়ে দিয়েছে এবং এরপরে বিএনপির যতগুলো সমাবেশ হবে, আপনি লঞ্চ বন্ধ করেন, বাস বন্ধ করেন, না লাঠি-সোঁটা নিয়ে দাঁড় করেন, না ১৪৪ ধারা দেন, কোনো কিছু টিকবে। নাউ টাইম হ্যাজ কাম।

 সময় এসেছে, মানুষ বিদ্রোহ করেছে। সরকার বলেছিল যে, বিএনপির পেছনে মানুষ নেই। বিএনপি দেখিয়েছে, তাদের পেছনে মানুষ আছে, আওয়ামী লীগের পেছনে নাই।

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ’২৮ অক্টোবর রাজনীতিতে হৃদয়হীনতা এবং বর্তমানশীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

Share if you like

Filter By Topic