ভোক্তাদের ফলাহারের চাহিদা পূরণে আপাতত দেশীয় ফলমূলের ওপর ভরসা করার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ডলার সংকটের কারণে যে বিধিনিষেধ, তা কমিয়ে ফল আমদানি আবার কবে সহজ করা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীর এ পরামর্শ।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাণিজ্য মন্ত্রী।
আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহেই এবারের রোজার মাস শুরু হবে। রোজায় মাছ-মাংস, তেল-চিনির পাশাপাশি ফলমূলের চাহিদাও বেড়ে যায়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তবে এই মুহূর্তে আমদানি নিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে ফল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন। তাদের ভাষ্য, ফল আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলা যাচ্ছে না, তাতে ফলের দাম দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে রিজার্ভের ওপর থেকে চাপ কমাতে গতবছর ২৩ মে ফুল, ফল, প্রসাধনী ও আসবাব পণ্য আমদানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনিবআর)।
আপেল, আঙুর, লেবুজাতীয় ফল, কলা, ডুমুর, আনারস, পেয়ারা, আম, অ্যাভোকাডো, তরমুজ, নানা জাতের বাদাম আমদানিতেও ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়।
ফল আমদানির জন্য নিয়ম শিথিল করা হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ফল-তো আমাদের দেশে প্রচুর হচ্ছে। এখন আমাদের দেখতে হচ্ছে যাতে বিদেশি মুদ্রায় অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। তাছাড়া আমাদের দেশেই প্রচুর ফল উৎপাদন হচ্ছে, সেটারও একটা মূল্য পাওয়া দরকার। যে জন্য এটা (এলসি) একটু সীমিত করা হয়েছে। সময় ভালো হলেই খুলে দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “এখন দরকার ডলার সেইভ করা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে যেটা অপরিহার্য, সেটাতেই আমরা বেশি জোর দিচ্ছি।”