পৌষের শেষভাগে এসে শুরু হওয়া শীতের কাঁপুনি থামছে না; বরং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি যোগের আভাস জনজীবনকে আরও কাবু করে তোলার আভাস দিয়েছে।
আবহাওয়ার খবরে তাপমাত্রা অল্প একটু বাড়ার তথ্য থাকলেও তা শৈত্যপ্রবাহকে দূরে ঠেলতে পারেনি।
শুক্রবার পৌষের ২৯ তারিখে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে তা বেশি হলেও হিমেল হাওয়া আর ঘনকুয়াশার মধ্যে কনকনে ঠান্ডায় মানুষ ভুগেছে বেশ।
আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ঘনকুয়াশার কারণে কোথাও কোথাও ‘ড্রিজলিং’ হতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিং ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও বিস্তীর্ণ এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকছে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ‘গুঁড়ি গুঁড়ি’ বৃষ্টির আভাসও ভয় জাগাচ্ছে।
পৌষের শেষ সময়ের শীত পার হলেও সপ্তাহের শেষ দিকে ‘মাঘের শীত’ জেঁকে বসবে আবার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
গত ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি এক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এরপর আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির প্রভাব কেটে যাওয়ার পর ফের শীত জেঁকে বসবে মাঘ মাসের শুরুতে বলে আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা কমতে পারে। রোববার-সোমবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার পর সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার-বুধবারের দিকে রাতের তাপমাত্রা ফের কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে একটি মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ।