এ বছর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী রাশিয়ার নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংস্থা মেমোরিয়ালকে ক্রেমলিন থেকে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করতে চাপ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
দীর্ঘ সময় ধরে নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির প্রধান ইয়ান রাচিনস্কি ওই অভিযোগ করেছেন বলে জানায় বিবিসি।
তিনি বলেন, ক্রেমলিন থেকে তাকে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে এবার যৌথভাবে বিজয়ী হওয়া ইউক্রেইনের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ‘সেন্টর ফর সিভিল লিবার্টিস’ এবং বেলারুশের কারাবন্দি মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াতস্কি ‘পুরস্কার পাওয়ার অনুপযুক্ত’।
শনিবার নরওয়ের অসলোর সিটি হলে এ বছরের নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
রাশিয়ায় নাগরিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে পুরনো সংস্থাগুলোর একটি মেমোরিয়াল। গত বছর রুশ সরকার যেটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে বিবিসি থেকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বিবিসিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাচিনস্কি বলেন, তার প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে তা তারা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করিনি।”
নিজের নিরাপত্তা নিয়ে হুমকির মধ্যে থাকা রাচিনস্কি আরো বলেন, মেমোরিয়ালের কার্যক্রম এখনো এখানে অপরিহার্যই রয়ে গেছে।
‘‘কারণ, আজকের রাশিয়ায় কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
‘‘হ্যাঁ, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি দেশের দায়মুক্তি কিসের মাধ্যমে হবে....আমাদেরকে এই গর্ত থেকে যেভাবে হোক বের হতে হবে।”
মেমোরিয়াল সোভিয়েত আমলের দমন-পীড়নের তথ্য নথিভূক্ত করার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল। এজন্য সংস্থাটির প্রথম চেয়ারম্যান আরসেনি রজিনস্কিকে ইতিহাসের তথাকথিত ‘কমিউনিস্ট-বিরোধী’ অধ্যয়নের জন্য সোভিয়েত শ্রম শিবিরে পাঠানো হয়েছিল।
মেমোরিয়ালকে বিজয়ী ঘোষণার সময় নোবেল কমিটি থেকে বলা হয়েছিল, ‘নতুন করে অপরাধ রুখতে আগের অপরাধ প্রতিহত করা জরুরি’, মেমোরিয়াল এই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত।