দেশে ও দেশের বাইরে বিতর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকলেও র্যাবে সংস্কারের কোনো প্রয়োজন দেখছেন না এই বাহিনীর নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিটের দায়িত্ব নিয়ে শনিবার বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই মতামত জানান তিনি।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খুরশীদ শুক্রবার র্যাবের ডিজির দায়িত্বভার নেন, শনিবার ছিল তার প্রথম কর্মদিবস।
২০০৪ সালে গঠিত র্যাব শুরু থেকেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনাবিদ্ধ। সর্বশেষ গত বছর যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে এই বাহিনীকে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে খুরশীদ বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাব কর্মকর্তাদের উপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা সরকারিভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে।
“তারা যেসব বিষয় আমাদের কাছে চেয়েছে, এরইমধ্যে আমরা সেসব বিষয়ের জবাব দিয়েছি। জবাব দেওয়ার পরে তারা আর পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ পায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “তারা বললেন এতগুলো লোক আমার উধাও হয়েছে। বলতে তো হবে তারা কারা? আমরা তো বলেছি, কে কোথায় কী অবস্থায় আছে। আমি মনে করি না এটা বড় কোনো চ্যালেঞ্জ সরকার কিংবা আমাদের জন্য।
“আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাবো। এটা সত্য, যারা কাজ করে তাদের ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। তবে দেখতে হবে, সেটা ব্যক্তি স্বার্থে, নাকি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য। তাই বলব, এসব বিষয় আমরা সরকারিভাবে মোকাবেলা করব।”
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা যে অচিরেই উঠছে না, তা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে নানাভাবেই বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি র্যাবে সংস্কারের কথাও বলেন।
সংস্কারের বিষয়ে খুরশীদ বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বলব, র্যাব সংস্কারের কোনো প্রশ্নই দেখি না। আমরা এমন কোনো কাজ করছি না যে র্যাবকে সংস্কার করতে হবে। আমাদের পূর্ব থেকে যে বিধি-বিধান আছে, সেই বিধি-বিধান অনুসারে আমরা কাজ করছি। আমরা আইনের বাইরে কোনো কাজ করি না।”
সংস্কারের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না, আমাদের কাছে তারা কোনো লিখিত প্রস্তাব দেয়নি।”