Loading...

রোহিঙ্গা: একলাখে পাসপোর্ট, চার লাখে ভিসা

| Updated: February 17, 2023 20:16:42


রোহিঙ্গা: একলাখে পাসপোর্ট, চার লাখে ভিসা

মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার জন্য কেবল নগদ অর্থের যোগান দিলেই রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করে দিত চক্রটি; বিনিময়ে নিত কমপক্ষে এক লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে চক্রটির চারজনকে গ্রেপ্তারের পর নগর গোয়েন্দা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার খসরু পারভেজ (৩৬), বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির মো. তসলিম (২৮), লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা মো. ইসমাইল (২০) ও পটিয়া উপজেলার মোহাম্মদ ফারুক (২৭)। এদের বাড়ি বিভিন্ন এলাকায় হলেও নগরীতে তারা বসবাস করেন এবং বিভিন্ন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ব্যবসার সাথে যুক্ত। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। 

এ চক্রের চারজনের সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই রোহিঙ্গা সদস্যকেও। উদ্ধার করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য বানিয়ে দেওয়া অবৈধ পাঁচটি পাসপোর্ট ও একটি জাতীয় পরিচয়পত্রও।

গ্রেপ্তার দুই রোহিঙ্গা হলেন- উখিয়ার ৭ নম্বর ক্যাম্পের ইমাম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জাবের (২৫) ও কুতুপালং ক্যাম্পের মকবুল আহম্মদের রজি আলম (২৭)।

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফেঅর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৪টার দিকে নগরীর খুলশী থানার গরীবুল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের কাউন্টারের সামনে থেকে পারভেজকে দুই রোহিঙ্গাসহ আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা রোহিঙ্গাদের যোগসাজশে অবৈধভাবে পাসপোর্ট করে দিত জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহাদ বলেন, কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মাধ্যম ধরে তাদের কাছে আসে এবং শুধু নাম ও এক লাখ টাকা দিলে তারা পাসপোর্ট তৈরি করাত।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে উপ কমিশনার নিহাদ জানান, চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন উপায়ে শুধু নাম ঠিক রেখে পিতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা নিজেদের মতো ব্যবহার করে পাসপোর্ট এবং এর জন্য জাতীয়তা সনদ থেকে শুরু করে অন্যান্য কাগজপত্র অবৈধভাবে বানিয়ে নিত। রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য কেবল লাইনে দাঁড়াত।

তাছাড়া রোহিঙ্গাদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার কাজও চক্রটি করত উল্লেখ করে নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ভিসা পাইয়ে দিতে তিন থেকে চার লাখ টাকা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে আদায় করত চক্রটি। পাসোপর্ট বানানো থেকে শুরু করে বিদেশে যেতে রোহিঙ্গাদের চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার দরকার পড়ে।

গত শুক্রবার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দা যাবার পথে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন রোহিঙ্গা যুবক আসাদ উল্লাহ (৩৩)। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালির রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হলেও পাসপোর্টে তিনি পটিয়ার ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন। তাকেও এ ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হচ্ছে।

Share if you like

Filter By Topic