কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাড়ে পাঁচ বছরে ১৩২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ওঠা জেলা পুলিশের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে সবশেষ সাত মাসে ৩২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
খুনের শিকার হওয়া এই রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগ ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতা (মাঝি) ও পাহারারত স্বেচ্ছাসেবক। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বড় অংশই ২০১৭ সালের অগাস্টের পরে আসে।
মিয়ানমারে দমন-পীড়নের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানরা দীর্ঘকাল থেকেই বাংলাদেশে আসছে।
২০১৭ সালের আগে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা এদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। সে বছর মিয়ানমারে দমন অভিযান শুরুর পর এই সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশে শরণার্থীর জীবন কাটানো রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরে। কিছু রোহিঙ্গাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নোয়াখালীর ভাসানচরে।
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটির সভায় রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা, ব্যবস্থাপনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব মেরিটাইমের (বিমরাড) গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ বৈঠকে কমিটি সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এবং মো. নাসির উদ্দিন অংশ নেন।