রোজার সময় যেন ঘাটতি না পড়ে, সেজন্য ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকে সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় ৯০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধের চুক্তিতে এসব পণ্য আনা যাবে।
এই পণ্যগুলো হল- খেজুর, ছোলা, ভোজ্যতেল, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা ও চিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এসব পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম মার্জিনে এলসি খোলার সিদ্ধান্ত ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে রোববার একটি নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার নতুন সার্কুলার লেটারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় ৯০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধের চুক্তিতে এসব পণ্য আনা যাবে।
এ সুযোগ আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে খোলা এলসির বেলায় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত জুলাই মাসে ডলার সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে ৭৫ থেকে শতভাগ নগদ মার্জিন আরোপের পাশাপাশি এসব পণ্যর বিপরীতে কোনো ধরনের ব্যাংক ঋণ দিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু ওই তালিকার বাইরে রাখা হয় শিশুখাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, উৎপাদনমুখী স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য সরাসরি আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল, কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং সরকারি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য।
গত জুলাইয়ের সার্কুলারেই আবশ্যকীয় খাদ্য পণ্যর মার্জিনের বিষয়ে কোনো কড়াকড়ি নির্দেশনা রাখা হয়নি।
এরমধ্যেই সোমবার গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা এলসি জটিলতায় রোজায় পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কার কথা জানান। রোজার পণ্য আমদানিতে এলসি খুলতে রিজার্ভ থেকে ডলার সুবিধাও চান তারা।
তার পরদিনই নতুন নির্দেশনা এল। এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ব্যাংকার্স সভায় রমজান মাস উপলক্ষে আবশ্যকীয় পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার জন্য ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারই আলোকে একটি সার্কুলার লেটার ইস্যু করা হয়েছে ফলোআপ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য।”
বৈদেশিক মুদ্রার উপর চাপ কমিয়ে আনতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপের কারণে এলসি খোলা কমেছে। গত বছরে প্রতিমাসে এলসি নিস্পত্তি যেখানে ৮ বিলিয়ন ডলারের উপরে ছিল, তা গত নভেম্বরে ৫ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে।
আর নতুন এলসি খোলার হার ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, আগামী জানুয়ারি নাগাদ এলসি খোলা ও নিস্পত্তির হার আগের পর্যায়ে চলে আসবে।