যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা ৬৯ রুশ জাহাজকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে মঙ্গলবার এই খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদসংস্থা তাস।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে ডেকে নেওয়া হয়।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে এতে বলা হয়, “বাংলাদেশি বন্দরে বাংলাদেশের জন্য মালামালবাহী রুশ জাহাজ ভেড়ার ক্ষেত্রে তার দেশের কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক প্রতিবেদন কূটনৈতিক মিশনের প্রধানের নজরে এনেছি আমরা।
“ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিপরীত হয়েছে এই পদক্ষেপ এবং বহুমাত্রিক পর্যায়ে আমাদের সহযোগিতার জন্য এটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে আসা রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’ অনুমতি না পাওয়ায় পণ্য খালাস না করেই ভারতীয় জলসীমা থেকে ফিরে যায় গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই রাশিয়ার যেসব জাহাজ মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে, সেসব নৌযানের বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশে গত ১৬ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।
ইউক্রেইনে রুশ আক্রমণের জেরে রাশিয়ার উপর বেশি কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা। সেই তালিকায় রাশিয়ান ব্যাংক, জাহাজ ও পণ্য রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক লেনদেন যোগাযোগ পরিষেবা সুইফটও রাশিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ রেখেছে। এর ফলে বাংলাদেশও এখন রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারছে না।
তাসের খবরে বলা হয়, ৬৯টি রুশ জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা তাসকে গত সপ্তাহে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশে রুশ দূতাবাস।
দূতাবাস এও জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের মানে এই নয় যে, রাশিয়ার মালামাল আমদানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
পরে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।