Loading...
The Financial Express

রমজানে দাম সহনীয় রাখতে আটটি নিত্যপণ্যের এলসি মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ

| Updated: December 12, 2022 10:50:36


রমজানে দাম সহনীয় রাখতে আটটি নিত্যপণ্যের এলসি মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ

আসন্ন রমজানে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ আটটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে ন্যূনতম নগদ মার্জিন রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ হার কত হবে তা ‘ব্যাংক ও গ্রাহকের’ সম্পর্কের ভিত্তিতে ঠিক করার কথা বলা হয়েছে রোববারের এ সাকুর্লারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের তালিকায় ভোজ্য তেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর রাখা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

ডলার সংকটের মধ্যে এলসি খোলায় ধীরগতি এবং কড়াকড়ির মধ্যে রোজায় এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে দাম সহনীয় রাখতে আগেভাগেই এমন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক।

মুসলমানরা সিয়াম সাধনার অংশ হিসেবে এক মাস রোজা রেখে থাকেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৩ সালে রমজান মাস শুরু হতে পারে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে।

এসময়ে দেশে কিছু খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ে। এজন্য ডলারের কারণে এলসি খোলায় জটিলতা এড়াতে এমন পদক্ষেপের কথা জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ নিয়ে গত ব্যাংকার্স সভায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।

তিনি জানান, ওই সভার আলোকে এ সার্কুলার লেটারের মাধ্যমে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে।

ডলার সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি করছে। এর অংশ হিসেবে বিলাস পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণে নগদ মার্জিন বাড়িয়ে শতভাগ করা হয়।

আবশ্যকীয় ও বিলাসী পণ্য ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খুলতে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

পৃথক এসব নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ১০০ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিনে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র স্থাপনের বিপরীতে প্রয়োজনীয় মার্জিন গ্রাহকের নিজস্ব উৎস থেকে গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ এসব পণ্য আমদানিতে ব্যাংক কোনো প্রকার অর্থায়ন করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

তবে শিশুখাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিকে এর বাইরে রাখা হয়।

বৈদেশিক মুদ্রার উপর চাপ কমিয়ে আনতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপের এ উদ্যোগ গত এপ্রিল থেকে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর থেকে এলসি নিষ্পত্তি ৮ বিলিয়ন থেকে গত নভেম্বরে ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। নতুন এলসি খোলার হার ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, আগামী জানুয়ারির মধ্যে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির হার কাছাকাছি পর্যায়ে চলে আসবে।

Share if you like

Filter By Topic