রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ থেকে নেওয়া ঋণের সুদ হার আরও এক দফা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমানে ইডিএফের আওতায় উৎপাদনের কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে সুদ আদায় করে। এর মধ্যে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ বাংলাদেশ ব্যাংক পায়।
নতুন নিয়মে একজন গ্রাহককে এ তহবিলের ঋণ নিতে ৪ শতাংশ হারে সুদ গুনতে হবে। এই সুদহার ১৩ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ মঙ্গলবার এক সার্কুলারে সব অনুমোদিত ডিলারদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে।
ইডিএফের আওতায় উৎপাদন ও রপ্তানি খাতের কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে ঋণ নিতে পারেন উদ্যোক্তারা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো উদ্যেক্তাদের কাছ থেকে যে ৪ শতাংশ সুদ নেবে, তার মধ্যে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ পাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন করে সরকার। ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে যাত্রা করা এ তহবিলের আকার ধাপে-ধাপে বাড়িয়ে ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়।
এই পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে নেওয়া ঋণ ২৭০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নিয়ম। সম্প্রতি রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন উপকরণ আমদানির জন্য ইডিএফ থেকে ঋণের চাহিদা বেড়েছে।
আগে লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফারড রেটের (লাইবর) সঙ্গে দেড় শতাংশ যুক্ত করে ইডিএফের সুদ হার নির্ধারণ করা হত। লাইবর রেট প্রতিদিনই ওঠানামা করত বলে ইডিএফের সুদ হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মত পড়ে যেত।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকে দেশের অর্থনীতিতে সচল রাখার স্বার্থে ২০২০ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মত ইডিএফ এর ঋণের সুদ হার ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এ বছর জুলাইয়ে তা একদফা বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।