Loading...
The Financial Express

রংপুর সিটি নির্বাচন: বেলা বাড়ছে, ভোটের লাইনও

| Updated: December 27, 2022 17:59:03


রংপুর সিটি নির্বাচন: বেলা বাড়ছে, ভোটের লাইনও

রংপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, “নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকালে ভোট শুরুর পর এখনও পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। সুষ্ঠভাবে ভোট চলছে; কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়; যা বিরতিহীনভাবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে।

নগরীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, শীতের কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো; বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের লাইন লম্বা হতে শুরু করে।

বাহার কাচনা আলিয়া দাখিল মাদ্রাসা ,কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছিলমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহব্বত খা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কথার সত্যতা মিললো। এ সব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি খুবই ভালো দেখা গেছে; পরিবেশও স্বাভাবিক রয়েছে। আর ইভিএমে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।

ছিলমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার আজাহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল সকাল ভোটটা দিয়ে দিলাম ভাই। কারণ পরে দীর্ঘ লাইন হবে।”

ইভিএম এ ভোট দিতে কোন সমস্যা হয়েছে কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, “কোনো সমস্যা হয় নাই। ইভিএম এ ভোট দেওয়াই ভালো।”

বাহার কাচনা আলিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোটার রাসেল মিয়া বলেন, “আমরা ভালো ভাবেই ভোট দিলাম। কোন সমস্যা নাই।”

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ভোটকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জনের এবং ৮৬টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে।

নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ করা হয়েছে ৩৩ জন নির্বাহী হাকিম। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য ১৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

র‌্যাব-বিজিবির একাধিক টিম মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে। তারা ভোটের আগে ও পরে মোট পাঁচদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবেন।

ভোটকেন্দ্রগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন, পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।

নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছে ২৬০ জন। মেয়র পদে নয় জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে নয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।

Share if you like

Filter By Topic