রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেইনের সর্বোচ্চ ১৩ হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলে কিইভের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোইলাক বলেছেন, নিহত সেনার সংখ্যা ১০ থেকে ১৩ হাজারের মধ্যে।
যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা ইউক্রেইনের জন্য বিরল ঘটনা আর পোদোইলাকের মন্তব্য দেশটির সামরিক বাহিনী নিশ্চিতও করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে জুনে তিনি বলেছিলেন, প্রতিদিন মারা যাওয়া ইউক্রেইনীয় সেনারা সংখ্যা একশ থেকে দুইশর মধ্যে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বজ্যেষ্ঠ জেনারেল মার্ক মিলি বলেছিলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় এক লাখ রুশ ও এক লাখ ইউক্রেইনীয় সেনা হতাহত হয়েছে।
বুধবার এক ভিডিও বক্তৃতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কমিশন প্রধান উরসুলা ফন ডার লাইয়েন বলেন, এ পর্যন্ত এক লাখ ইউক্রেইনীয় সেনা নিহত হয়েছে। পরে ইইউ কমিশনের একজন মুখপাত্র জানান, লাইয়েন ভুল করে শুধু ‘নিহত’ বলেছেন, আসলে হবে ‘হতাহত’।
ইউক্রেইনীয় টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পোদোইলাক বলেন, “নিহতের সংখ্যা নিয়ে কিইভ প্রকাশ্যে কথা বলেছে।
“জেনারেল স্টাফের করা দাপ্তরিক মূল্যায়ন, কমান্ডার-ইন-চিফের (জেলেনস্কি) করা দাপ্তরিক মূল্যায়ন আছে আমাদের, তাতে নিহতের সংখ্যাটি ১০ হাজার থেকে ১২৫০০-১৩০০০ এর মধ্যে।”
যুদ্ধে নিহত বেসামরিকের সংখ্যা ‘উল্লেখযোগ্য’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিসি নিউজের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মধ্য জুন পর্যন্ত প্রায় ৩৬০০ বেসামরিক নিহত হয়েছে। সংখ্যাটি এখন আরও বাড়ার কথা।
পোদোইলাকের ধারণা, ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার সর্বোচ্চ এক লাখ সেনা নিহত এবং এক লাখ থেকে দেড় লাখ সেনা আহত, নিখোঁজ অথবা পঙ্গু হয়ে গেছে।
বিবিসির রুশ সার্ভিসের মতে ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯৩১১ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে আর প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছয়শরও বেশি হতে পারে।