রাজধানীর যানজট কমাতে স্কুলবাস চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে চারটি স্কুল দিয়ে।
বুধবার ডিএনসিসির এলাকায় স্কুলবাস সার্ভিস প্রবর্তন সংক্রান্ত প্রাথমিক কর্মকৌশল নির্ধারণে আয়োজিত সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
প্রথম ধাপে বনানীর চিটাগং গ্রামার স্কুল, মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল, বাড্ডার স্যার জন উইলসন স্কুল ও উত্তরার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটরিয়াল এই চারটি স্কুলে বাস চালু করা হবে। শিক্ষার্থীদের বাসার ঠিকানা অনুযায়ী বাস রুট নির্ধারণ করা হবে।
শুরুতে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে চালুর পর পর্যায়ক্রমে অন্য স্কুলেও বাস সেবা দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র।
তবে কবে থেকে চারটি স্কুলে পরীক্ষামূলক বাস চলাচল শুরু হবে, সেই দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
মেয়র আশা করছেন, স্কুলবাস চালু হলে তা যানজট কমাতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, “অনেক স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। ফলে ঢাকার রাস্তায় অসংখ্য প্রাইভেট গাড়ি চলাচল করছে। স্কুলগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলবাস চালু হলে প্রাইভেট গাড়ির ব্যবহার ব্যাপকহারে কমে যাবে।
“ঢাকা শহরে স্কুলবাস চালু হলে ব্যাপক হারে যানজট কমে যাবে। এর ফলে দূষণ কমবে, কার্বন নিঃসরণও অনেকাংশে কমবে।”
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অভিভাবকদের ভূমিকাটি গুরুত্বপূর্ণ বলছেন মেয়র আতিক।
সভায় অংশ নেওয়া একজন অভিভাবক স্কুলবাসে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মেয়র বলেন, স্কুলবাসে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।
“অ্যাপের মাধ্যমে ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বাসের চালক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। একটি হটলাইন নম্বর থাকবে, যেটির মাধ্যমে অভিভাবকরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবে।”
সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, চিটাগং গ্রামার স্কুল-ঢাকার অধ্যক্ষ আছিয়া আলম চৌধুরী, স্কলাস্টিকা স্কুল মিরপুর শাখার অধ্যক্ষ নুরুন নাহার মজুমদার,স্যার জন উইলসন স্কুলের অধ্যক্ষ সাবরিনা শাহেদ এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটরিয়ালের অধ্যক্ষ লুবনা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।