খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা দুটি পাটের গুদাম আছে; ওই গুদাম দেখতে খুলনা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে তার খুলনায় যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে পুরো খুলনা নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় একটি জমি কেনা ছিলো। জমির ওপর দুটি পাটের গুদাম আছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা দেখতে খুলনায় আসছেন।
প্রধানমন্ত্রী রাতে গোপালগঞ্জে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে পরদিন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
সুজিত বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সফরটি রাষ্ট্রীয় নয়। সে কারণে তার সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরা সাক্ষাৎ করতে পারবেন না।”
দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় আসেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত সফরে খুলনা আসবেন। এখানে তিনি ১৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা অবস্থান করবেন। এরপর তিনি আবার গোপালগঞ্জ ফিরে যাবেন। যদিও এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত সফর। তারপরও আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।”