মারামারির ঘটনায় ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া নয় নেত্রী ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
সোমবার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনের থাকার এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী নোমান হোসাইন তালুকদার। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
জামিন পাওয়া নেত্রীরা হলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত সহ সভাপতি জেবুন নাহার শিলা, মারজান আক্তার উর্মি, কল্পনা বেগম, সোনালী আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, সাদিয়া জাহান সাথী ও জান্নাতুল ফেরদৌস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী।
কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ‘রেষারেষির’ জের ধরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের মারামারির পর ৩০ সেপ্টেম্বর এদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার অনুসারী সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিতু আক্তার।
সোমবার আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ও নোমান হোসাইন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এহসান হাবীব ও শোয়েবুজ্জামান সুপ্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আইনজীবী নোমান বলেন, “লালবাগ থানায় রিতু আক্তার বাদী হয়ে যে মামলা করেছিলেন সেটিতে ওই নয় জনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। জামিনে থাকা এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।”
আগের কয়েক দিনের ঘটনার জের ধরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে সহ সভাপতিদের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি বাঁধে। দুই পক্ষের মারপিটে রীভাসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। ওই দিন রাতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ।
একইসঙ্গে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক না থাকলেও ১০ জন সহ সভাপতি রয়েছেন। তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধিতা করছিলেন।
এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর রীভা ও রাজিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টার অভিযোগে’ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন সংগঠনের বহিষ্কৃত সহ সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস।
এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর বেআইনিভাবে মারপিট, হত্যা চেষ্টা, চুরি, ক্ষতি করা ও হুমকির অভিযোগে বহিষ্কৃত সহ সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় পাল্টা মামলা করেন রিতু আক্তার।