রাশিয়া, ইরান ও মিয়ানমার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশ তিনটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা।
শুক্রবার নতুন এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর আওতায় রাশিয়ার ৩৩ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা এবং ছয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারী রুশ নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ রয়েছে এইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়া, ইউক্রেইন ও বেলারুশের দেড় সহস্রাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা।
ইরানের ২২ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা। এর মধ্যে ইরানের বিচার বিভাগ, কারা ব্যবস্থা ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যসহ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সহকারীর মতো রাজনৈতিক নেতারা এবং রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদমাধ্যমের কর্মরর্তারা রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
গত সেপ্টেম্বরে তেহরানের একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করে বড় ছোরা দিয়ে আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে আঘাত করার অভিযোগে এক বিক্ষোভকারীকে বৃহস্পতিবার ফাঁসি দিয়েছে ইরান। এরপরই কানাডা দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, “আরও অনেক কাজ করার বাকি আছে। কিন্তু মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়া কখনও থামাবে না কানাডা।”
ইরান ও রাশিয়ার পাশাপাশি মিয়ানমারের ১২ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু গুরুতর কাজ সম্পাদনের অভিযোগ করেছে কানাডা।
গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, জান্তা সরকার এখন প্রতিনিয়ত মৃত্যুদণ্ডকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।