কল অফ ডিউটি’ নির্মাতা অ্যাক্টিভিশনের মালিকানা হাতে এলে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মে গেইমটির প্রবেশাধিকার মাইক্রোসফট বন্ধ করে দেবে কি না, গেইম নির্মাতাদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)’র অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকরা।
বিষয়টি উঠে এসেছে ইইউ’র এক নথিতে, যা দেখে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয় হাজার নয়শ কোটি ডলারে মাইক্রোসফটের অ্যাক্টিভিশন অধিগ্রহনের প্রস্তাবনা নিয়ে ইইউ প্রাথমিক সিদ্ধান্ত জানাবে ৮ নভেম্বরের মধ্যে।
নথিতে নিয়ন্ত্রকরা আরও জিজ্ঞেস করেছেন, কম্পিউটার ও কনসোল গেইমগুলোর বিকাশ, প্রকাশনা ও বিতরণে অ্যাক্টিভিশন ব্যবহারকারীর ডেটা ভাণ্ডার মার্কিন এই সফটওয়্যার জায়ান্টকে প্রতিযোগিতায় বাড়তি সুবিধা দেবে কি না।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেইমিং শিল্পে সবচেয়ে বড় এই অধিগ্রহন, টেনসেন্ট ও সনির মতো বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দেবে মাইক্রোসফটকে।
বড় টেক কোম্পানি অধিগ্রহণ নিয়ে নিয়ন্ত্রকদের উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনা করে নভেম্বরের সিদ্ধান্তের পর চার মাস দীর্ঘ একটি তদন্ত চালাবে ‘ইউরোপিয়ান কমিশন’।
তারা বিভিন্ন গেইম নির্মাতা, প্রকাশক ও বিতরণকারীকে জিজ্ঞেস করেছেন, মাইক্রোসফটের ‘এক্সবক্স’ ও ক্লাউড গেইমিং সেবা ‘গেইম পাসের’ মাধ্যমে কনসোল ও পিসি গেইম বিক্রির বেলায় তাদের দর কষাকষির ক্ষমতায় এই চুক্তি কোনো প্রভাব ফেলবে কি না।
নিয়ন্ত্রকরা আরও জানতে চেয়েছেন, এই চুক্তির পর বাজারে পর্যাপ্ত বিকল্প পরিবেশক থাকবে কি না। পাশাপাশি, এক্সবক্স, গেইম পাস ও ক্লাউড গেইম স্ট্রিমিং সেবায় অ্যাক্টিভিশনের বিভিন্ন গেইম মাইক্রোসফট এক্সক্লুসিভ হিসেবে রাখবে কি না, সেটিও জানতে চেয়েছেন তারা।
নিয়ন্ত্রকরা জিজ্ঞেস করেছেন, এমন ‘এক্সক্লুসিভ’ চুক্তি মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমকে আরও ক্ষমতাধর করবে কি না। আর নিজস্ব পিসি অপারেটিং সিস্টেম, ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ও বিভিন্ন গেইম সম্পর্কিত সফটওয়্যার টুলে অ্যাক্টিভিশনের সংযোজন ভিডিও গেইমিং শিল্পে মাইক্রোসফটকে বাড়তি সুবিধা দেবে কি না।
বিভিন্ন কনসোল গেইম পরিবেশক, কম্পিউটারে থার্ড পার্টির মাল্টি-গেইম গ্রাহক সেবা ও ক্লাউড গেইমিং সেবাদাতার কাছে কল অফ ডিউটি ফ্রাঞ্চাইজ কতোটা জরুরী, তারা সেটিও জিজ্ঞেস করেন।
নথিতে এই ধরনের প্রায় একশটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন নিয়ন্ত্রকরা। চুক্তির পর এনভিডিয়ার ‘জিফোর্স নাও’, সনি’র ‘প্লেস্টেশন’, ‘গুগল স্টেডিয়া’, ‘অ্যামাজন লুনা’ ও ‘ফেইসবুক গেইমিং’য়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হিসেবে বিবেচিত হবে, এমন প্রশ্নও রয়েছে।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সব প্রশ্নের জবাব দিতে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় পাবেন উত্তরদাতারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।