এক সপ্তাহ আগে তুরস্ক ও সিরিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা।
উদ্ধারকারীরা এখনও জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশায় ধ্বংস্তুপের মধ্যে সতর্কতার সঙ্গে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন।
ব্যাপক বিপর্যয়কর ভূমিকম্পের পর সোমবার সকাল পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ৩৪১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
তুরস্কের জরুরি সমন্বয় কেন্দ্র এসএকেওএম জানিয়েছে, দেশটিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৬০৫ জন হয়েছে।
দিন শেষে যা আরও বাড়ারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সোমবার তিনি সিরিয়ার আলেপ্পোতে ভূমিকম্প দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান। যেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিগগিরই উদ্ধার অভিযান ‘শেষ হওয়ার পথে’।
গ্রিফিথস বলেন, এখন কর্মকর্তারা বেঁচে যাওয়াদের আশ্রয়, খাবার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার বিষয়ে অধিক মনযোগ দেবেন।
‘‘আমরা এখানকার যেসব মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি তাদের চোখেমুখে ভয় ও আতঙ্ক স্পষ্ট ছিল। এটা এমন একটি ভয় যেটা কাটাতে বিশ্বকে কাজ করতে হবে।
‘‘এখানকার মানুষদের জন্য সাহায্য পাঠানো, তাদের যত্ন নেওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
দীর্ঘ ১১ বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার মানুষদের অনেক ভুগতে হয়েছে এবং হচ্ছে। তারপরও এবারের ভূমিকম্পকে দেশটির মানুষদের উপর নেমে আসা সবথেকে ভয়াবহ বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভূমিকম্পে সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১৬০ জন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে মৃতের সংখ্যা ১৪১৪ জন।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত ১০টি প্রদেশ ও দক্ষিণের প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।