আঞ্চলিক ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের মোট সংখ্যা ২১০৫১ জনে দাাঁড়িয়েছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওক্তাই বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তার দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৬৭৪ জনে দাাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৭২৮৭৯ জন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৩৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ২০৩০ জন এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে ১৩৪৭ জন বলে বিদ্রোহীদের হোয়াইট হেলমেট স্বেচ্ছাসেবক দল ও সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।
সিরিয়ায় মোট আহতের সংখ্যা ৫২৪৫ জন; এদের মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে ২২৯৫ জন এবং বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ২৯৫০ জন।
সবমিলিয়ে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ৭৮ হাজার ১২৪ জন আহত হয়েছেন।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখনও পরিষ্কার হয়নি জানিয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
ধসে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়াদের বের করে আনতে উদ্ধারকারীদের সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে, কিন্তু ভূমিকম্পের পর থেকে প্রায় ১০০ ঘণ্টা পার হওয়ায় জীবিতদের উদ্ধারের আশা ক্রমেই মিইয়ে যাচ্ছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কে উৎফুল্ল হওয়ার মতো উদ্ধারের কিছু ঘটনা ঘটলেও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি ক্রমেই আশাহীন হয়ে উঠছে বলে ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
ভূমিকম্পে থেকে বেঁচে যাওয়া হাজার হাজার জীবনের জন্য ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া আবহাওয়া হুমকি হয়ে উঠছে। এসব মানুষ প্রবল শীতের মধ্যেই আশ্রয়, পানি ও খাবারের খোঁজে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ঠাণ্ডা ও তুষারপাতে ‘পরিস্থিতি নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় আশ্রয়হীন এসব মানুষ ‘দ্বিতীয় আরেকটি’ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে।