ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে উজবেকিস্তানে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শিশুদের চিকিৎসায় আপাতত দুটি সিরাপ দিতে বারণ করেছে সংস্থাটি।
সতর্কবার্তায় ডব্লিউএইচও বলেছে, ভারতের ম্যারিয়ন বায়োটেক কোম্পানির উৎপাদিত চিকিৎসাপণ্যগুলো ‘নিম্নমানের’এবং কোম্পানিটি এইসব পণ্যের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
কয়েকসপ্তাহ আগে গতবছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে উজবেকিস্তান ম্যারিয়ন বায়োটেকের তৈরি সিরাপ সেবনে ১৮ শিশুর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ করেছিল। ওই শিশুরা ম্যারিয়ন বায়োটেকের ডক-১ ম্যাক্স সিরাপ সেবন করেছিল। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ডব্লিউএইচও’র এ সতর্কতা জারি। তবে ম্যারিয়ন বায়োটেক এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। বিবিসি মন্তব্য জানার জন্য ম্যারিয়ন বায়োটেক এবং ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
উজবেকিস্তানে শিশু মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ম্যারিয়ন কোম্পানির সব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
এ সপ্তাহে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় উত্তর প্রদেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগও ম্যারিয়ন বায়োটেকের পণ্য উৎপাদনের লাইসেন্স বাতিল করেছে। কোম্পানিটি উত্তর প্রদেশেই অবস্থিত।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারের নমুনা পরীক্ষায় অ্যাম্ব্রোনল ও ডক-১ ম্যাক্স দু’টি সিরাপেই অগ্রহণযোগ্য পরিমাণে “ডাইথাইলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল দূষণ পাওয়া গেছে।”
ডাইথাইলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল মানবদেহের জন্য বিষাক্ত এবং এটি সেবন মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, “এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে অ্যাম্ব্রোনল এবং ডক-১ ম্যাক্স বাজারজাতের অনুমতি থাকতে পারে। অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলের বাজারেও পণ্য দুটি বিধিবহির্ভূতভাবে সরবরাহ করা হয়ে থাকতে পারে।
“নিম্নমানের এ পণ্যগুলো অনিরাপদ। এসব পণ্যের ব্যবহারে বিশেষ করে শিশুরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে কিংবা মারাও যেতে পারে।”