Loading...
The Financial Express

ভারতের আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসবে মার্চে: নসরুল হামিদ

| Updated: January 04, 2023 19:33:24


ভারতের আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসবে মার্চে: নসরুল হামিদ

ভারতের ঝাডখণ্ডে নির্মাণাধীন আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী মার্চ নাগাদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ পাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের নির্মাণাধীন ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি একথা জানান বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

একদল সংবাদকর্মী ও বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্মাণাধীন ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালানের জন্য একটি বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হবে।

নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের লক্ষ্যে বিদ্যুতের বহুমুখী জোগান নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালেই ভারত থেকে আমদানি শুরু করে সরকার। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হয়ে দৈনিক ১০০০ মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সূর্যমনি থেকে কুমিল্লা হয়ে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে।

ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের পাশেই ঝাড়খণ্ড রাজ্য। সেখান থেকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ার সঞ্চালন লাইন হয়ে আসবে আদানির বিদ্যুৎ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চের মাঝামাঝি পাওয়া যেতে পারে। আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা পূরণে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। জ্বালানির বিকল্প উৎসও আমরা খুঁজছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি।

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান।

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি পাওয়ারের মধ্যে একটি ক্রয় চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় আদানি ঝাডখণ্ডে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।

সেই বিদ্যুৎ দেশে এনে জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন স্থাপনা নির্মাণ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-পিজিসিবি।

এখন শীত চলতে থাকায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কমে এসেছে। চলতি জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী, এখন দিনে ৮ হাজার মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে।

তবে গ্রীষ্ম মাসে এই চিত্রটি ভিন্ন থাকে। গত মার্চে দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১২৫০০ মেগাওয়াট থেকে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ছিল।

চাহিদা পূরণের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা দেশে থাকলেও ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জ্বালানির উচ্চ মূল্যের কারণে উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়।

Share if you like

Filter By Topic