হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরাসহ ফি নির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এই পরীক্ষা কিংবা সেবার জন্য একেকটিতে একেক অঙ্কের ফি নিয়ে সেবাপ্রার্থীদের অসন্তোষ দীর্ঘদিনের।
জাহিদ মালেক বলেন, “এক হাসপাতালে ফি ১০ হাজার টাকা হলে, অন্য হাসপাতালে বিল ওঠে ৫০ হাজার টাকা বা ১ লাখ টাকা। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি চলতে পারে না।
“আমরা আগেও বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করা নিয়ে সভা করেছি। এবার আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটেগরাইজড করে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে দিচ্ছি।”
মান অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এ, বি, সি শ্রেণিতে ভাগ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে শ্রেণি অনুযায়ী ফি’র হেরফের হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, “যে হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে, সেই সক্ষমতার বাইরে ওই হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না। যে হাসপাতালের সিজার করার বা হার্টের চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নাই, সে হাসপাতাল ওই চিকিৎসা দেওয়া মানেই রোগীর জীবন সঙ্কটাপন্ন করা। এজন্যই আমরা শ্রেণি নির্ধারণ করে দিচ্ছি।”
সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।