সেই ১৯৮৬ সালের পর আর বিশ্বকাপের স্বাদ পায়নি আর্জেন্টাইনরা। সবশেষ ২০১৪ সালে ব্রাজিলের আসরের ফাইনালে হারের হতাশায় ডুবতে হয় তাদেরকে। কিন্তু এবার যেন আবহ ভিন্ন।
২০২১ সালে ব্রাজিলকে তাদের মাঠে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের মধ্য দিয়ে ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটায় আর্জেন্টিনা। এরপর ইতালিকে হারিয়ে ফিনালিস্সিমা ট্রফির স্বাদও নেয় লিওনেল স্কালোনির দল। তিন বছরের বেশি সময় ধরে অপরাজিত দলটিকে ঘিরে সমর্থকদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ডানা মেলতে শুরু করেছে প্রবলভাবে।
অধিনায়ক লিওনেল মেসি অবশ্য সতর্ক। আর্জেন্টাইনদের আশার কথা শোনালেন বটে, তবে হতাশার অতীত ঠিকই মনে রেখেছেন ফুটবলের এই মহাতারকা। তাই সমর্থকদের অধৈর্য হতে বারণ করলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“আমাদের জন্য শান্ত থাকা কঠিন। একজন সাধারণ মানুষ, একটা দেশ এবং একজন আর্জেন্টাইন হিসেবে আমি বলছি, সবসময় আমরাই সেরা…আমরা সবসময় শিরোপার দাবিদার এবং পূর্বে অনেক সময় সবকিছু এখনকার মতো (এই আবহ) ছিল না।”
“আর্জেন্টাইনরা শিহরিত, তাদের প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে, তারা মনে করে আমরা কাপ নিয়ে ফিরব। কিন্তু বিষয়টা এতটা সহজ নয় নয়; কেননা, বিশ্বকাপ সবসময় খুব কঠিন। আমরা ভালো দল-স্রেফ এতেই হবে না, বিশ্বকাপ পেতে হলে অনেক কিছু দিতে হয় এবং দিনশেষে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
ডিরেকটিভির সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্রাজিল ও ফ্রান্সকে বিশ্বকাপের ফেভারিট বলেছিলেন মেসি। জার্মানি, ইংল্যান্ড ও স্পেনকেও রেখেছিলেন ফেভারিটের তালিকায়।
শুধু এই পাঁচ দল নয়, বিশ্বকাপের পথচলায় আরও অনেক বাধা আসতে পারে বলে মনে করেন মেসি। শান্ত থেকে অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছানোর আশাবাদও শোনালেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
“অনেকরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যেটা আমাদেরকে ম্যাচ থেকে কিংবা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিতে পারে এবং আরও অনেক দল আছে…যদি আমরা ভালো দল হই, আরও অনেক ভালো দলও সেখানে (কাতার বিশ্বকাপে) থাকবে।”
“তবে হ্যাঁ, বিশ্বকাপ নিয়ে আর্জেন্টানদের মধ্যে অনেক মোহ কাজ করছে। বর্তমানে জাতীয় দল ভালো সময়ের মধ্যে আছে, একটা দল হয়ে আমরা ভালো করছি….শিরোপা জিততে আমরাও মরিয়া। আমি বলব, আমরা লড়াই করব, আমরা কাউকে ভয় পাই না। কেননা, যে কারো বিপক্ষে খেলতে প্রস্তুত আমরা, কিন্তু সেটা শান্ত থেকে।”
‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনা নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে সৌদি আরবের বিপক্ষে; ২২ নভেম্বরে। গ্রুপের বাকি দুই দল মেক্সিকো ও পোল্যান্ড।