একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা ও সতর্ক করার পরও দেশের কিছু ব্যাংকের গ্রাহক হিসাব ব্যবহার করে বিটকয়েনসহ সব ধরনের ক্রিপ্টো কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা কেনাবেচা ও লেনদেন হচ্ছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা এমন তথ্য জানার পর বাংলাদেশ ব্যাংক আবার ভাচুয়াল মুদ্রা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় একই সঙ্গে ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন মনিটরিং করতেও বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো কোনো ব্যাংকের ওইসব ব্যাংক হিসাবের সহায়তার মাধ্যমে এসব লেনদেন হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ‘‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন বিদেশি ভার্চুয়াল সার্ভিস অ্যাসেট প্রভাইডার (ভিএএসপি) তাদের ওয়েবসাইট/অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যরত কোনো কোনো তফসিলি ব্যাংকের গ্রাহক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কারেনর্সি ইত্যাদির লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয়, পুনঃবিক্রয়, পি২পি/বিনিময়/স্থানান্তর/বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’’
নতুন নির্দেশনায় এগুলো ব্যবহারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ভিএএসপির মাধ্যমে যাতে এমন কার্যক্রম অথবা যেকোনো ধরনের কাজে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে মনিটরিং কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রধান কার্যালয়সহ, শাখা, উপ-শাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটগুলোতে দর্শনীয় স্থানে টানাতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করতে বলা হয়।
এর আগে ভার্চুয়াল মুদ্রা নিষেধাজ্ঞার দেওয়ার সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, ‘‘ভার্চুয়াল মুদ্রা ও সম্পদ কোনো দেশের সর্বভৌম স্বীকৃতি নেই। অর্থাৎ কোনো দেশের বৈধ কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখনও ভার্চুায়াল মুদ্রার স্বীকৃতি দেয়নি।’
“ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) কর্তৃক অনুমোদিতও নয়। ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা তাই যা, কোনো সম্পদ বা অর্থমূল্যকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা দিয়ে কোনো লেনদেন সম্পন্ন করা যায়।“
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন করেনি। এজন্য এর ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই বলে আগে একাধিকবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।