Loading...
The Financial Express

বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত আছেন, রংপুরের সমাবেশে মির্জা ফখরুল

| Updated: October 30, 2022 15:34:13


-ফাইল ছবি -ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তত্ত্বাবধায়ক ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে তিনি বলেন, “আমাদের পার্টি সিদ্ধান্ত দিলে দলীয় সংসদ সদস্যরা যে কোনো মুহূর্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন।

সাত সংসদ সদস্যের নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “তারা প্রস্তুত আছেন পদত্যাগ করার জন্য।

শনিবার বিকালে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী বাধা অতিক্রম করে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। সকাল থেকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ, ব্যানার, ফ্যাস্টুন বহন করে স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত করে সমাবেশে যোগ দেন তারা।

কেউ কেউ দুইদিন আগেই রংপুরে পৌঁছান। তারা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বারান্দা, মাঠে, গুদাম ঘরে ও মসজিদে রাত্রিযাপন করেন।

দেশের যা কিছু অর্জন তা ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “সরকার চিবিয়ে চিবিয়ে অর্থনীতিকে খেয়ে ফেলেছে। চারিদিকে চুরি আর চুরি। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, ব্রিজ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের টাকা চুরি করে এ সরকার সর্বভুকে পরিণত হয়েছে।”

এ সময় রিজার্ভ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিশ্ব ব্যাংক রিজার্ভের সঠিক হিসাব চেয়েছে। সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তারা রিজার্ভের টাকাও খেয়ে ফেলেছে।

 এ সরকারকে জনগণ আর চায় না। সাফ কথা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এ সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গ্রহণযোগ্য পার্লামেন্ট গঠন করা হবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আমাদের দাবি সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। সরকার বিএনপিকে ভয় পায় বলে প্রতিটি সমাবেশের আগেই গাড়ি বন্ধ করে দিচ্ছে। তারপরও দমাতে না পেরে হত্যা করা হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। অবৈধ সরকার ক্ষমতা টিকে থাকতে বিএনপির নেতাদের গুম ও খুন করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ইলিয়াস আলীসহ ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে সরকার। হত্যা করা হয়েছে সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে। ৩৫ লাখেরও বেশি মামলা ঝুলছে নেতাকর্মীদের মাথার ওপর। যারা দেশকে ধ্বংস করে দেশের মানুষের শান্তি বিনষ্ট করে তাদের ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষের আভাস দিয়েছেন। মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। অথচ ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। দেশের তিন ভাগ মানুষ কষ্টে আছে। ১০ টাকার চাউল এখন ৯০ টাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের সবকিছুই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এ ধরনের অবস্থা বাংলাদেশের মানুষ চায় না।

দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এ দায় সরকারকেই নিতে হবে।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন উর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েল।

সমাবেশ চলাকালে দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Share if you like

Filter By Topic