ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আতিথ্য নিতে ‘কার্ড’ পাঠানো হয়েছে সরকার পতনের আন্দোলনে থাকা বিএনপিকে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান– এই তিন নেতা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ‘আমন্ত্রণ পত্র’ পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তরর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের হাতে তিনটি কার্ড তিনি দেন
এমন এক সময় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে, যখন নয়া পল্টনে সংর্ঘষের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, রুহুল কবীর রিজভীসহ দলের কয়েকশ নেতাকর্মী কারাগারে।
আমন্ত্রণ কার্ড ‘গ্রহণ’ করে প্রিন্স আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বলেন, “সবাই (নেতা-কর্মী) আসলে বাইরে, জেলখানায়। আমাদের মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দ কারাগারে। নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে জানাব। তাদের কাছে কার্ড পৌঁছে দেব।”
জবাবে সায়েম বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করব, আপনি নেতৃবৃন্দকে বলবেন।”
প্রিন্স সে সময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে চা পানের কথা বললে তারা ব্যস্ততার কথা বলে বিদায় নেন।
বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, মীর নেওয়াজ আলী, আমিরুজ্জামান শিমুল, শেখ রবিউল ইসলাম পাটোয়ারি, মশিউর রহমান বিপ্লব, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি এ সময় কার্যালয়ে ছিলেন।
বিএনপি অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা আজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির তিন জন স্থায়ী কমিটির সদস্য… তাদের কার্ড আমরা পৌঁছে দিয়েছি।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির অনেক নেতা কারাগারে আছেন, তাদের ছাড়া এই আমন্ত্রণ কতটা গ্রহণযোগ্য হবে– এমন প্রশ্নে সায়েম খান বলেন, “দেখেন এটা সরকারের বিষয়, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিষয়। তারা যেখানে মনে করেছেন যে, সরকার পরিচালনায়, আইনশৃঙ্খলা পরিচালনায় যেখানে ব্যত্যয় ঘটেছে তারা তাদের মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন।
“কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব যারা ওই সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করেন, যারা বাইরে আছেন, সেই সকল নেতৃবৃন্দকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, সদস্য রাসেল মাহুমদ, অভ্যর্থনা উপ-কমিটির হাসানুজ্জামান লিটন, ইশতিয়াক আহমেদ শিমুল।
শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের অধিবেশন বসছে।