পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং বতসোয়ানার কৃষিমন্ত্রী ফিদেলিস এম মালাওয়ের মধ্যে দেশটির রাজধানী গাবোরোনেতে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কৃষি, মৎস্য ও একোয়াকালচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও বতসোয়ানার মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। উভয় পক্ষই কৃষি, প্রাণিসম্পদ এবং মৎস্য খাতে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার আশা প্রকাশ করে।
বতসোয়ানায় দুই দিনের সরকারি দ্বিপাক্ষীয় সফরকালে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম শুক্রবার গাবোরোনে বতসোয়ানার কৃষিমন্ত্রী ফিদেলিস এম মালাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময়ে প্রতিমন্ত্রী গত এক দশকে কৃষি খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্পর্কে বতসোয়ানা পক্ষকে অবহিত করেন। স্বল্প জমিতে খাদ্যশস্য, শাক-সবজি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর বিপুল উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরে, তিনি বতসোয়ানার অব্যবহৃত কৃষি জমিতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের চুক্তিভিত্তিক চাষের কথা বিবেচনার জন্য বতসোয়ানাকে প্রস্তাব দেন। খবর বাসস এর।
বতসোয়ানা পক্ষ বাংলাদেশ ও বতসোয়ানার মধ্যে কৃষি ও চুক্তিভিত্তিক কৃষিতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদনে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দুই দেশের কৃষি বিশেষজ্ঞ ও উৎপাদকদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে জনাব ফিদেলিস এম মালাও বাংলাদেশের একটি কৃষি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলকে বতসোয়োনা সফরে আমন্ত্রণ জানান।
প্রতিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বতসোয়ানা ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেসের শিক্ষাবিদদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতামত দেয় যে উভয় পক্ষ উদ্যানপালন, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি ও পশুচিকিৎসার ক্ষেত্রে জ্ঞান বিনিময় করতে পারে।
শাহরিয়ার আলম কৃষি খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেন এবং প্রস্তাব করেন যে বাংলাদেশ ও বতসোয়ানা কৃষি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা যেতে পারে।
উভয় পক্ষই কৃষি ও প্রাণিসম্পদ ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কৃষি বিশেষজ্ঞদের সফর বিনিময়ে সম্মত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সন্ধ্যায় বতসোয়ানায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। শাহরিয়ার আলম তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ ও বতসোয়ানায় তাদের মূল্যবান অবদান অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের পরামর্শ দেন।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।