বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বামীকে মারধরের অভিযোগে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
শনিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান।
আটকরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামীম হোসেন এবং নাতি আলিফ হোসেন।
ইউএনও সাঈদা পারভীনের অভিযোগ, বিকালে শামীম ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরের ব্যাডমিন্টন কোর্টে খেলতে আসেন। তখন তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন তার গাড়ির চালক ফেরদৌস হোসেন। তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গালিগালাজ শুরু করেন শামীম।
“সেখানে উপস্থিত আমার স্বামী গালিগালাজের প্রতিবাদ করেন। তখন শামীম আমার স্বামীকে লাথি মারেন। এতে আমার অসুস্থ স্বামী মারাত্মকভাবে আহত হন,” যোগ করেন ইউএনও।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি বিদেশ থেকে আমার স্বামীর হার্টে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বুকের হাড়ে স্ক্রু বসানো আছে। মারধরের ফলে তার বুকের স্ক্রু ডিসপ্লেস হয়ে গেছে।”
এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সাঈদা পারভীন জানান।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন শামীমের বাবা ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব আলম বুলু।
তার দাবি, “সন্ধ্যার আগে ইউএনওর বাসভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমার ছেলের সঙ্গে আল আমিন শিকদারের ধাক্কা লাগে। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এর জেরে আমার ছেলে ও নাতিকে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।”
ওসি সৈকত বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।