সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; খেলোয়াড়দের প্রত্যেকের হাতে তুলে দিয়েছেন ৫ লাখ টাকার চেক।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাবিনা, সামসুন্নাহার ও কৃষ্ণা রানিদের জন্য এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের নারী দলের টিম ম্যানেজমেন্টের প্রত্যেক সদস্য পেয়েছেন ২ লাখ টাকা করে। সংবর্ধনায় উচ্ছ্বসিত পুরো দল মিলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। কাঠমান্ডু থেকে ফেরার পর ছাদখোলা বাসে তাদের বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় কাজে প্রধানমন্ত্রী সেসময় দেশের বাইরে ছিলেন।
বুধবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত যে আমাদের… এখানে একটু না বলে পারি না, আমাদের ছেলেরাও যা পারে না, মেয়েরা তার থেকে বেশি পারে। শুনলে আবার ছেলেরা রাগ করবে। রাগ করার কিছু নেই। ছেলেদের প্রতিযোগিতাটা একটু বেশি। ওদের একটু বেশি হচ্ছে সেই জন্যই কিন্তু…তাও আমি বলব যে আমাদের মেয়ে যথেষ্ট ভালো করছে।”
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনে সিড মানি হিসেবে আরও ২০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “মহামারীকালে এই ফাউন্ডেশনকে ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মোট ৪০ কোটি টাকার সিড মানি দেওয়া হয়েছে। আমি আরও ২০ কোটি টাকা দেব।”
তিনি বলেন, “যারা আমাদের খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত, অনেক সময় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন, অথবা তাদের কোনো রকম অসুবিধা দেখা দেয় বা একটু বয়স হয়ে গেলে তাদের হয়ত কিছু করার থাকে না বা তাদের কোনো নিজের প্রয়োজন, সেখানে এই ফাউন্ডেশন থেকে তারা সহযোগিতা পেতে পারে। আবার এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই ফাউন্ডেশনই তাদের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য অনেক কাজও করতে পারে।”
খেলোয়াড়দের সহযোগিতা করতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “বাংলাদেশের যারা বিত্তশালী আছে, তাদেরও বলব এসব জায়গায় তারা যেন আরও সহযোগিতা করে। তাছাড়া প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী ইন্ডাস্ট্রির মালিক বা অন্যান্য ব্যবসায়ী তাদেরকে আমি আহ্বান করি যে প্রত্যেককে যেন আমাদের খেলোয়াড়দের চাকরি দেয়,কাজ দেয়।”
যেসব খেলোয়াড় ক্যারিয়ার শেষে ব্যবসা করছেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা খেলাধুলা শেষ করে এখন ব্যবসা করে বেশ টাকা-পয়সার মালিক হচ্ছে, তাদের তো উচিত এদিকটা আরও বেশি করে দেখা।”
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।