পাঁচ দিনের নানা আচার পালন সেরে বুধবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
দুপুরের আগেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা এনে জড়ো করা হয় পলাশীর মোড় ও ঢাকেশ্বরী পূজা মণ্ডপ এলাকায়। স্বল্পগতিতে চলা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে চড়া পূজারিদের পাশাপাশি অনেকে পায়ে হেঁটে শোভাযাত্রায় শামিল হন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ডিএমপির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, এবার ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে পলাশী-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে নবাবপুর রোড থেকে সদরঘাট হয়ে ওয়াইজঘাটে বুড়িগঙ্গা তীরে শেষ হবে শোভাযাত্রা।
বিকাল ৪টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে পুরান ঢাকার শঙ্খনিধি মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানো শুরু হয়।
ঘাটে আসার পর ভক্তরা শেষবারের মত ধূপধুনো নিয়ে আরতি নাচেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্যে নৌকা থেকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ‘মাতৃরূপী’ দেবীকে এক বছরের জন্য বিদায় জানান ভক্তরা।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল বলেন, “বিভিন্ন ঘাটে রাজধানীর নানা মণ্ডপের প্রতিমা একে একে বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে দেড় শতাধিক প্রতিমা বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে বিসর্জনের পরিকল্পনা আছে।“
একে একে বিসর্জন দেওয়া হয় ধানমণ্ডি সর্বজনীন পূজা কমিটির প্রতিমা ও টিকিটুলীর ইয়াং স্টার পূজা কমিটির প্রতিমা।
প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র্যাব সদস্যদেরও তৎপর ভূমিকায় দেখা যায়। এছাড়া শোভাযাত্রা যেসব সড়ক ধরে যাবে সেসব সড়কে নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “নিরাপত্তা জোরড়ারে দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছে।”
এর আগে বিদায়ের সকালে বুধবার সকালে দশমীর বিহিত পূজা এবং দর্পণ বিসর্জনে শেষ হয় দেবীর শাস্ত্রীয় বিসর্জন। পাশাপাশি দেবী প্রতিমার হাতে জরা, পান, শাপলা ডালা দিয়ে আরাধনা করা হয়। এরপর পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়।এছাড়া আরাধনা আর সধবা নারীর সিঁদুর খেলার আচারে মুখরিত থাকে প্রতিটি মণ্ডপ।